সরকারি চাকরি পাওয়া স্ত্রীর কব্জি কেটে ‘শাস্তি’, অবশেষে ধৃত রেণুর স্বামী শের মহম্মদ

সরকারি চাকরি পাওয়া স্ত্রীর কব্জি কেটে ‘শাস্তি’, অবশেষে ধৃত রেণুর স্বামী শের মহম্মদ

 কলকাতা: সরকারি চাকরি পাওয়ার ‘অপরাধে’ স্ত্রীর ডানহাতের কব্জি কেটে ‘শাস্তি’ দিয়েছিল স্বামী৷ সেই ঘটনার তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতার অভিযুক্ত শের মহম্মদ৷ পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ খবরটি নিশ্চিত করেছেন এসডিপিও কাটোয়া কৌশিক বসাক৷ 

আরও পড়ুন- বিচারপতির অনুরোধ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সোমার চাকরির জন্য মমতাকে ধন্যবাদ অভিজতের

সোমবার রাতেই গ্রেফতার হয়েছে রেণুর শ্বশুর- শাশুড়ি৷ এদিন পুলিশের জালে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত তথা রেুণুর স্বামী শের মহম্মদ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত জানিয়েছে স্ত্রী যাতে সরকারি চাকরি করতে না পারে সে জন্য লোক ভাড়া করে এনে তাঁর হাত কেটে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল সে। স্ত্রীকে সরকারি চাকরি করা থেকে আটানোই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। স্ত্রীকে খুন করার কোনও উদ্দেশ্য তার ছিল না বলেও জানিয়েছে শের৷ তার কথায়, রেণুকে শুধুমাত্র সাংঘাতিক ভাবে জখম করার পরিকল্পনা ছিল তার। একইসঙ্গে জেরায় শের মহম্মদের দাবি, সরকারি চাকরির নেশা ছাড়িয়ে রেণুর মন সংসারের দিকে টানতেই তার হাত কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা  করেছিল সে৷  

 
নার্সের চাকরি পাওয়া রেণু খাতুনের কব্জি কেটে নেওয়ার ঘটনায় তাঁর শ্বশুর সিরাজ শেখ ও শাশুড়ি মেহেরনিকা বিবিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে কেতুগ্রামের চাকটা বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ৷ অভিযোগ, শনিবার রাতে রেণু যখন ঘুমোচ্ছিলেন তখন ঘরে ঢুকে তাঁর মুখ বালিশ দিয়ে চেপে ধরে শের মহম্মদ ও তার দুই বন্ধু মিলে ধারাল অস্ত্র দিয়ে রেণুর ডান হাতের কব্জি কেটে নেয়৷ এর পরেই পালায় শের৷ 

এদিকে রেণুর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ কিন্তু তাঁর কাটা হাত মেলেনি৷ কারণ সেটি লুকিয়ে রেখেছিল শের৷ যাতে চিকিৎসকরা তা জোড়া লাগাতে না পারে৷  পরে কাটোয়া হাসপাতাল থেকে রেণুকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷