জনতাকে সবক শেখাতে শেখাতে নাইট কারফিউতে ধরপাকড় পুলিশের

জনতাকে সবক শেখাতে শেখাতে নাইট কারফিউতে ধরপাকড় পুলিশের

কলকাতা: দুর্গা পুজোর সময় থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ৷ গত কয়েকদিনে সেই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে৷ রবিবার ২.৩২ শতাংশ পজিটিভিটি রেট ছিল বাংলায়। সোমবার তা বেড়ে হয়েছে ২.৭৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার বলি ১১ জন৷ আক্রান্ত ৮০৫ জন৷ এর মধ্যে কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের৷ আক্রান্ত ২২৯৷

স্বভাতই, বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণকে ঠেকাতে এবং জনতাকে সবক শেখাতে সোমবার রাত থেকে শুরু হল পুলিশি কড়াকড়ি৷ কলকাতা শহরের প্রায় প্রতিটি এলাকায় সোমবার রাতে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ৷ সূত্রের খবর, জেলায় জেলায়ও এই একই নির্দেশ জারি হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের মাঝেই আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে খুলছে চলেছে স্কুল, কলেজ৷

স্বাভাবিকভাবেই তার আগে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া রাজ্য৷ পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বলতে লজ্জা লাগে, বিশ্বব্যাপী এত মানুষের মৃত্যু, দু’ দু’বার দমবন্ধ করা লকডাউন পরিস্থিতির পরও তো এখানকার মানুষের হুঁশ ফিরছে না৷ তাই মাস্ক পরানোর জন্য আজও পুলিশকে লাঠি উঁচিয়ে দৌড়ে যেতে হচ্ছে৷’’ ওই কর্তা বলছেন, ‘‘মানুষ শুনতে না চাইলে জোর করে শোনাতে হবে৷ আমরা সেটাই শুরু করলাম৷’’

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে উল্টোডাঙার মোড়ে পুলিশে নাকা চেকিংয়ের সময় উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না থাকা এবং গাড়ির বৈধ কাগজপত্র না থাকার ফলে বেশ কয়েকজন শহরবাসী জরিমানার মুখে পড়েন৷ তাঁদের কানধরে ওঠবসও করানো হয়৷ পুলিশের এককর্তা বলেন, ‘‘আমরা ভাল ভাবে মানুষকে বলেছি মাস্ক পরতে, আদর্শ দূরত্ব বিধি মেনে চলতে৷ কেউ কথা শোনেনি৷ তাই জরিমানা সহ অন্যান্য শাস্তির নিদান দেওয়ার কাজ শুরু করতে হল৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 3 =