তদন্ত করছে গোয়েন্দা বিভাগ, মইদুলের মৃত্যুর ঘটনায় বিবৃতি পুলিশের

তদন্ত করছে গোয়েন্দা বিভাগ, মইদুলের মৃত্যুর ঘটনায় বিবৃতি পুলিশের

কলকাতা: নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার। এই মৃত্যুর ঘটনায় একদিকে যেমন শোকাহত সকলে, অন্যদিকে শ্লেষাত্মক আক্রমণ করা শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকে। খুন করা হয়েছে ঐ নেতাকে এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই তুলেছে সিপিএম-কংগ্রেস। তবে এবার এই ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। জানান হয়েছে, মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সরকার জানাচ্ছেন, ‘মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ওই ব্যক্তি ১৪ তারিখ রাত ২টোয় ভর্তি হন লাইফ লাইন নার্সিং হোমে। কিন্তু ১১তারিখ নবান্ন অভিযানের দিনের পর থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কোন ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন তিনি, কি চিকিৎসা হয়েছে সেখানে, কেনো কোনও সরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়নি এই বিষয় গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নার্সিং হোমে ভর্তির কথা গতকাল বিকেলে প্রথম জানতে পারে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ। গোটা বিষয়টি গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে দেখছে।’ 

মর্মান্তিক এই ঘটনায় কার্যত রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে মইনুলের পরিবার। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং তিন কন্যা সন্তানের এখন কী হবে সেই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারছেন না। পরবর্তী ক্ষেত্রে যদিওবা সরকারের তরফে কোনরকম সাহায্য আসে, তাহলেও কি শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে পারবে মইনুলের পরিবার? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর অজানা। তবে পাড়ার ছেলে ফরিদের মৃত্যুতে আইনি পথে নামতে চান তারা, একই সঙ্গে আর্থিক সহযোগিতার আশাও রয়েছে মইনুলের পরিবারের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি কোনও মৃত্যুকে সমর্থন করি না৷ যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক৷ একইসঙ্গে বলেছেন, যে কারণেই মৃত্যু হয়ে থাক না কেন তাঁর পরিবার যদি চায় তাহলে কোনও একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে৷ এছাড়াও তাঁদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করার জন্যও সরকার প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *