pocso
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর তদন্তে পুলিশ অনেক আগেই জানতে পেরেছিল যে, খাতায় কলমে মৃত ছাত্র ১৮ বছর বয়সী ছিল না। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন। তাই এই ঘটনায় পকসো আইনে মামলা হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে এখন সব জল্পনা কেটে গিয়েছে কারণ এই ঘটনায় অভিযুক্ত ১২ জনের বিরুদ্ধে পকসো মামলার ধারা দিয়েছে পুলিশ। জানানো হয়েছে, ওই ছাত্র নাবালকই ছিল।
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ধৃতেরা ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে আছে। এই ঘটনায় প্রথমে খুন এবং পরে র্যাগিংয়ের ধারায় মামলা করেছিল পুলিশ। তবে এখন প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স বা পকসো আইনে মামলা রুজু করল তারা। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছিল, ওই ছাত্রকে লাগাতার ভয় দেখানো হত এবং তাকে জোর করে বিবস্ত্র করে হুমকিও দেওয়া হয়। হস্টেল চত্বর থেকে প্যান্ট, গেঞ্জিও উদ্ধার হয়েছিল যে ওই ছাত্রের বলে অন্যান্যরা দাবি করেছে। তবে আদতে কী ঘটেছিল, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন প্রথম বর্ষের ছাত্র। পরিবারের অভিযোগ, তাকে র্যাগিং করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া একাধিক প্রাক্তন ছাত্ররা অবশ্য নিজেদের নির্দোষ বলে এখনও দাবি করে আসছে। এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। তার পর দুই পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। ক্রমে আরও গ্রেফতারি বেড়ে বর্তমানে তা ১২।