আরও বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ? মোদির বৈঠকে মিলছে ইঙ্গিত

আরও বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ? মোদির বৈঠকে মিলছে ইঙ্গিত

কলকাতা: লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত ক্ষমতা রাজ্য সরকারগুলির হাতে দেওয়া উচিত৷ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে এমনই মত প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য আর্থিক প্যাকেজ দাবি করেন তিনি৷

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার সব খুলে দিয়ে রাজ্য সরকারকে লকডাউন কার্যকর করতে বলছে। সীমান্ত খুলে দিয়ে, ট্রেন চালিয়ে বলছে করোনার মোকাবিলা করো। এটা পরস্পরবিরোধী অবস্থান। কোথায় লকডাউন থাকবে বা থাকবে না, তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হোক রাজ্য সরকারকে।’ এদিনের বৈঠকে লকডাউন তোলার বিরোধিতা করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও৷ সঙ্গে মমতা দাবি করেন, ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরাতে রাজি রাজ্য সরকার৷ ইতিমধ্যে প্রায় ১ লক্ষ শ্রমিক ফিরেছেন৷ সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের ফেরাতে কেন ট্রেনের ভাড়া নিল রেল?

নবান্ন সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে করোনা মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দাবি করেছেন মমতা। সঙ্গে বলেছেন, সঙ্কটের এই সময় সমস্ত রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সমস্ত শক্তি দিয়ে করোনার মোকাবিলা করছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রাণপন চেষ্টা করলেও কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে রাজনীতি করছে এবং তা বন্ধ করা উচিত বলে মুখ্যমন্ত্রী  জানিযেছেন। এদিন মমতা বলেন, ‘ভাইরাস মোকাবিলায় আমরা আমাদের সেরাটা করছি। সঙ্কটের এই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনীতি করা উচিত নয়। আমাদের চারিদিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। ফলে আমাদের বিপদ অনেক বেশি।’

সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সমস্ত সংবাদমাধ্যেমে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এতে আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।‘ সঙ্গে তাঁর দাবি, সব রাজ্যকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রকে আমার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সম্মান করুন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 11 =