কলকাতা: বিরাট ব্রিগেড জনসভা হবে এমন দাবি প্রথম থেকেই করে এসেছে বিজেপি। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার অনেক আগে থেকেই বিরাট মানুষের সমাগম হয়েছে ব্রিগেডে এবং ব্রিগেডের মাঠ ছাড়িয়ে সেই ভিড় রাস্তায় রাস্তায় পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখার শুরুতেই এক কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিগেডের ভিড় দেখে চমকে গিয়ে তিনি বললেন, “নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এত বড় সভা দেখিনি। অনেক সভায় ভাষণ দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে, কিন্তু এত বড় সভায় এই প্রথম”।
প্রধানমন্ত্রী আরো দাবি করে বলেছেন, হেলিকপ্টারে আসার সময় তিনি দেখেছিলেন যে ময়দানে আর জায়গা নেই। রাস্তায় লোক উপচে পড়ছে। কিন্তু তিনি নিশ্চিত যে তারা কেউ এখানে পৌঁছাতে পারবে না কারণ ভিড় এতটাই। এই বলে ব্রিগেডে আসা সকল কর্মী এবং সমর্থকদের প্রণাম জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে বলেন, বাংলার মাটি থেকেই সংস্কৃতির বিকাশ এবং বাংলার মাটি থেকেই ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু। বাংলার মহাপুরুষরা এক ভারত এবং শ্রেষ্ঠ ভারতের ধারণাকে মজবুত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, কলকাতা শুধু বাংলা নয়, ভারত তথা বিশ্বের কাছে প্রেরণা স্থল। আজ তিনি ফের একবার এই ব্রিগেড মাঠে জনসভা করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন। এর পাশাপাশি আজকের বিজেপির ব্রিগেড জনসভাকে ঐতিহাসিক বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘আজকের দিনটা স্বপ্নের মত…’ ব্রিগেড মঞ্চে আবেগাপ্লুত মিঠুন
নিজের বক্তব্যে ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারকে। মোদী বলেছেন, বাংলার মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং একইসঙ্গে রাজ্যের মা-বোনদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছেন। কিন্তু বাংলার মানুষ ভেঙে না পড়ে তারা পরিবর্তন চাইছেন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেছেন, তাঁর সংঘর্ষ এবং উত্থান সম্পর্কে সকলেই জানেন। সেই মিঠুন চক্রবর্তী আজ বিজেপির সঙ্গে।