বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডে না গিয়ে বাংলায় কেন দলীয় সভা? মোদিকে একহাত নিল সিপিএম

বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডে না গিয়ে বাংলায় কেন দলীয় সভা? মোদিকে একহাত নিল সিপিএম

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরাখণ্ডের যোশী মঠে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সত্ত্বর না গিয়ে সরকারি টাকায় পশ্চিমবঙ্গে দলীয় কর্মসূচী করেছেন। বক্তব্য সিপিএমের। সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদি ন্যূনতম জনদরদী হতেন আজকে তিনি সরকারি টাকায় বাংলায় দলীয় কর্মসূচী না করে তাঁর বিশেষ বিমানে হেলিকপ্টারে যোশী মঠে যেতেন। উত্তরাখন্ডের যোশী মঠে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ না হারানো, আহত মানুষদের পাশে থাকতেন।

লোকসভা নির্বাচনের পর বাংলায় বিভিন্ন ভোট বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বিজেপির বামেদেরর 20-21 শতাংশ ভোট হস্তগত করে তৃণমূলকে বেগ দিয়েছে। বাম ভোট পাওয়ার লক্ষে বিজেপি এবারও অভিষ্ঠ লক্ষে এগিয়ে চলেছে। বাম-কংগ্রেস জোট তৃণমূলকে সুবিধা করে দিচ্ছে, নাকি বিজেপিকে – তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হচ্ছে। মোদী হলদিয়ায় বলেছেন মমতার কায়দাতেই, তৃণমূলের সঙ্গে বাম-কংগ্রসের সমঝোতার কথা বলেছেন। মহম্মদ সেলিম বলেছেন, সারা দেশ জানে আসল সত্যি। জন্মের সময় থেকে বিজেপি’র সঙ্গে তৃণমূলের প্রকাশ্যে বন্ধুত্ব, নির্বাচনী লড়াই, বিজেপির সঙ্গে একই মন্ত্রীসভায় থাকা। মোদীর সঙ্গেও মমতার সখ্য সুবিদিত, গুজরাট দাঙ্গার সময় মোদীকে মমতা ব্যানার্জি ফুল পাঠিয়েছিলেন যেমন, তেমনি মোদী নিজেই জানিয়েছেন প্রতিবছর নিয়ম করে তিনি মোদীকে কুর্তা, মিষ্টি পাঠান। মমতার উপহারের বিনিময়ে মোদী কী উপহার দিয়েছেন সেটা তিনি বাংলার মানুষকে স্পষ্ট করে জানান। কেরালা প্রসঙ্গে মোদী বলেছেন, বাম-কংগ্রেসের বোঝাপড়ার কথা, কেরালা নিয়ে মোদীর গাত্রদাহ হওয়া স্বাভাবিক। কেরালায় আরএসএস খুন সন্ত্রাস চালিয়েও হালে পানি পায়নি, কেরালায় তৃণমূলের মত সহযোগী শক্তি মোদী এখনও পাননি।

সেলিমের কথায়, তোলাবাজ দুর্নীতিগ্রস্ত সারদা-নারদে অভিযুক্ত তৃণমূল সরকারকে থেকে লালকার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তৃণমূলকে লালকার্ড দেখানোর জন্য ১৬টি বামপন্থী দল, কংগ্রেস এবং তখন আরএসএস’র পরামর্শে মোদী ‘রামকার্ড’ দেখিয়ে তৃণমূলের চোর-জোচ্চোরদের নিজেদের দলে টেনে জার্সি বদল করাচ্ছেন।  যে তৃণমূল-মাওবাদীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে হাত মিলিয়ে নন্দীগ্রামের ষড়যন্ত্রের শরিক ছিল, দিনের পর দিন যে তৃণমূল-মাওবাদীদের যৌথবাহিনী নন্দীগ্রামে রাস্তা কেটেছে, মোদী তাদেরই নিজেদের দলে টানছেন। নন্দীগ্রাম নিয়ে মোদীর মন্তব্য হল আত্মঘাতী গোল। মোদী ফুটবলের পরিভাষা ব্যবহার করেছেন বক্তৃতায়, বাংলায় তিনি আর অমিত শাহ্‌ যে একাদশ তৈরি করছেন সেখানে তৃণমূলের চোর-অপরাধীরাই আলো করে বসে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × one =