হলদিয়া: আজ বাংলা সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। অসম থেকে বিশেষ বিমানে রওনা হয়ে সোজা নামলেন হলদিয়ায়। যোগ দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির বিশাল জনসভায়। মঞ্চ থেকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের শাসকদলকে। বললেন, “রাজ্যের মানুষ মমতার অপেক্ষায় ছিল, কিন্তু নির্মমতার শিকার হয়ে গেল।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী হলদিয়ার মঞ্চে স্বাধীনতার আগের ও পরের বাংলার ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করলেন। জানালেন, “স্বাধীনতার পরে বাংলায় কিছুদিন কংগ্রেস রাজ করল। রাজ্যের দুর্নীতি চরম সীমায় পৌঁছল। তারপর বাংলায় অনেকটা সময় ধরে রাজ করল বামেরা। দুর্নীতির সঙ্গে শুরু হল অত্যাচারও। তার পর ২০১১ সালের নির্বাচনে গোটা দেশের নজর ছিল বাংলার দিকে। মমতা দিদির পরিবর্তনের বাণীতে বাংলা আশা করেছিল। কিন্তু গত ১০ বছরে সেই আশা ভেঙে গেছে। বাংলা মমতার আশায় বেঁচে ছিল। কিন্তু ১০ বছরে শুধু নির্মমতা পেয়েছে, আর কিছু নয়। মমতার অপেক্ষায় ছিল মানুষ, কিন্তু নির্মমতার শিকার হয়েছে।”
রাজ্যের শাসকদলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আরও ক্ষোভ, “মমতার সরকারের প্রথম বছরেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, এটা পরিবর্তন নয়। এটা বামপন্থার পুনরুজ্জীবন। আর বামপন্থা মানেই এটা দুর্নীতিরও পুনরুজ্জীবন। তাও আবার সুদ সমেত। শুধু কি দুর্নীতি? এটা অপরাধ ও অপরাধীরও পুনরুজ্জীবন, হিংসার পুনরুজ্জীবন, লোকতন্ত্রের উপর হামলারও পুনরুজ্জীবন। এতে বাংলায় দারিদ্রতা আরও বেড়েছে। পুরনো উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন উদ্যোগ নেওয়ার মতো উৎসাহ নেই কারোর মধ্যে।”
রবিবার বেকারত্ব ইস্যুতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, “যখন মানুষ সরকারি সম্পত্তি দখল করবে, প্রতিদিন রাস্তায় খুন-জখম হবে, যখন সরকারি জায়গায় নিয়োগ করবে দলের লোকেরাই, তখন বাংলার সাধারন তরুণ প্রজন্ম কাজ কী করে পাবে?” তার আরও অভিযোগ, “বাংলার মানুষ যখনই মমতা দিদির কাছে মেয়েদের অধিকারের কথা বলে, তখনই দিদি ঘাবড়ে যান। এমনকি ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিলেও তিনি রেগে যান। কিন্তু দেশদ্রোহীরা যা কিছু বলুক দিদির কিছুতেই রাগ হয় না।”