নরেন্দ্র মোদীর হাতে বাংলাকে তুলে দিতেই হবে: শুভেন্দু অধিকারী

ভারতীয় জনতা পার্টির ভূয়শী প্রশংসা করে দাবি করলেন, বাংলার উন্নয়ন করতে গেলে বাংলাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিতেই হবে।

মেদিনীপুর: এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে মেদিনীপুর কলেজ মাঠ থেকে বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরের নাম লিখিয়ে একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন, অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির ভূয়শী প্রশংসা করে দাবি করলেন, বাংলার উন্নয়ন করতে গেলে বাংলাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিতেই হবে। একইসঙ্গে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং দুর্নীতি নিয়ে তোপ দাগলেন তিনি।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এসএসসি এবং টেট নিয়ে দুরাবস্থা চলছে রাজ্যে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক অবস্থা তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প রাজ্যে চালানো হয় না, যার জন্য বাংলার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে দিন দিন। এই প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুর স্পষ্ট দাবি, বাংলার যদি উন্নয়ন করতে হয় তাহলে এখানে দরকার ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে বাংলাকে তুলে দিতেই হবে বলে বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি দাবি করেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দ্বিতীয়ই হবে, প্রথম হতে পারবে না কারণ প্রথম হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। তারাই আগামী বছর সরকার গড়বে পশ্চিমবাংলায়। 

এর পাশাপাশি শুভেন্দু আরো জানান, তৃণমূল কংগ্রেসে আত্মসম্মান নেই। ব্যক্তি স্বার্থ প্রাধান্য পাচ্ছে বেশি।   এক্ষেত্রে অর্জুন সিং প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে একশোর বেশি মামলা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে, কিন্তু তাঁকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। যেখানে আত্মসম্মানবোধ নেই সেখানে তিনি থাকবেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস দলের কোনো রকম পরিবর্তন হয়নি। যারা দল তৈরি করেছেন, যারা একটু একটু করে দল গঠন করেছেন, তারা আজ গুরুত্ব পাচ্ছেন না। বরং ব্যক্তিগত স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে চিঠিতে শুভেন্দু বলেন, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ একটি কঠিন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যের মানুষকে ঠিক করতে হবে তারা কী করবেন এবং কী করবেন না। এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২১ সালে বাংলার মানুষকে উন্নয়নের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের একটা পথ বেছে নিতে হবে যেটা ভবিষ্যতে বাংলার ভবিষ্যৎ গঠন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *