কলকাতা: লাগাতার বেশ কয়েকদিন বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় জলমগ্ন। সার্বিকভাবে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সব মহল। একই রকম ভাবে চিন্তিত দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে রাজ্যের পরিস্থিতির খোঁজ নিলেন তিনি। আজ রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য উদয়নারায়নপুর যাচ্ছেন মমতা, তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনালাপ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানতে চেয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলার কী অবস্থা এবং কোথায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে এই বন্যা পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যায় তা নিয়েও দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, লাগাতার বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার ফলে প্রচুর মানুষ ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। বহু মানুষ এখন ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন কারণ অনেকের বাড়ি প্লাবনে ভেসে গিয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি পরিদর্শনে উদয়নারায়নপুর যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে ঠিক হয়েছিল যে আজ খানাকুল পরিদর্শনে যাবেন তিনি কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার করে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি তাই আপাতত সড়কপথে উদয়নারায়নপুর যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- এবার পুলিশের জালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো চেয়ারম্যান
ইতিমধ্যেই অতিবৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন৷ সেই প্রেক্ষিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার৷ মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মৃতদের পরিবারের হাতে দ্রুত এককালীন ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর৷ সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি জেলাগুলির বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশও দেন তিনি৷ দুর্গতদের কাছে যাতে ঠিক ভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ প্রয়োজনে এলাকায় গিয়ে নজরদারি চালাতে হবে বলেও নির্দেশ তাঁর৷