BJP-তে যোগ দিতে চেয়েছিলেন কৌশলী পিকে! আমরা নিইনি, দাবি শাহের

BJP-তে যোগ দিতে চেয়েছিলেন কৌশলী পিকে! আমরা নিইনি, দাবি শাহের

কলকাতা:  তাঁর আগমনের পর থেকেই বদলাতে শুরু করেছিল দলের অন্দরের খোলনোলচে৷ দায়িত্ব নেওয়ার পর সবার আগে তিনি দলকে চর মুক্ত করার কাজ শুরু করেছিলেন৷ জোড় দিয়েছিলেন জনসংযোগের উপর৷ 

আরও পড়ুন-  লাগবে না ভোটার কার্ড! ভোট দেওয়ার নয়া উপায় বাতলে দিল খোদ কমিশন

২০১৯-এর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভরাডুবির কারণ খতিয়ে দেখতে গিয়ে তাঁর গোচরে আসে কিছু ভয়ঙ্কর জিনিস৷ জানা যায়, দলে থেকেও কেউ কেউ কাজ করছেন বিজেপি’র হয়ে৷ আর এর পরেই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে দলে সাংগঠনিক রদবদল আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই জোয়ারেই শুভেন্দু অধিকারীর মতো বেশ কিছু নেতার গুরুত্ব হ্রাস পেতে থাকে৷ তাঁর নির্দেশ মেনে কাজ করতে অস্বীকার করে দল ছাড়েন একের পর এক নেতা৷ কিন্তু পিকে’র গুরুত্ব বিন্দুমাত্র হ্রাস পায়নি৷ বরং তাঁর মতকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন দলনেত্রী৷ বঙ্গ রাজনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য নাম হয়ে ওঠা সেই পিকে’ই নাকি বিজেপি’তে যোগ দিয়ে চেয়েছিলেন৷ বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ শুধু তাই নয়, বললেন, আমরা ওঁকে দলে নিইনি৷ 

এদিন অমিত শাহকে প্রশ্ন করা হয় হয়, ‘সম্প্রতি এক আলোচনাসভায় নীতিশ কুমার বলেছিলেন, আপনার অনুরোধেই নাকি প্রশান্ত কিশোরকে দলে নিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে কী বলবেন আপনি?’ এর জবাবে অমিত শাহের অকপট স্বীকারোক্তি,  ‘হ্যাঁ বলেছিলাম।’ এই উত্তর শোনার পরই সাংবাদিক তাঁকে বলেন, তবে তো প্রশান্ত কিশোরকে সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন আপনি৷ এর পরেই বিস্তারিত ব্যখ্যা দেন শাহ৷ তিনি বলেন, ‘প্রশান্ত কিশোর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন৷  কিন্তু আমাদের দলে আলাদা করে স্ট্রাটিজিস্ট বলে কিছু নেই৷ আমরা সবাই রাজনৈতিক কর্মী। এবং দলের রাজনৈতিক কর্মীরাই স্ট্র্যাটিজি ঠিক করেন। সে কারণেই আমি তাঁকে বলেছিলাম, আপনি নীতিশবাবুর সঙ্গে দেখা করতে পারেন৷ নীতিশবাবুর মনে হয়েছিল প্রশান্ত কিশোর দলে এলে দল উপকৃত হবে৷ তাই উনি প্রশান্তকে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর টিকতে পারেননি। এখানে আমি আর কী করতে পারি?’

আরও পড়ুন- একুশের ভোট যেন কোহলির ক্যাচ! নেট মাধ্যমে অভিনব প্রচার জোট শিবিরের

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের কৌশলী হয়ে ওঠার আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিহারে জনতা দল (ইউনাইটেড)-এ যোগ দিয়েছিলেন পিকে৷ কিন্তু সিএএ সহ একাধিক বিষয়ে নীতিশ কুমারের সঙ্গে তাঁর মত বিরোধ শুরু হয়৷ জেডিইউ বিজেপি’র পাশে দাঁড়ালেও বেঁকে বসেছিলেন প্রশান্ত কিশোর৷ এর পরেই ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পিকে-কে দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়৷ এর আগেই অবশ্য উনি মাথা গোঁজেন তৃণমূলে৷ তবে তাঁকে নিয়ে তৃণমূল নেতাদের মধ্যেও বিরোধ রয়েছে৷ অনেকেই মনে করেন, দলকে শেষ করতেই কৌশলী পিকে’কে পাঠিয়েছে বিজেপি৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − five =