জোড়া সাফল্য পিয়ালির! এভারেস্টের পর এবার জয় করলেন লোৎসেও

জোড়া সাফল্য পিয়ালির! এভারেস্টের পর এবার জয় করলেন লোৎসেও

কলকাতা: গত রবিবারই কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্টের চূড়ায় উঠে কার্যত বাংলা তথা দেশ জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন চন্দননগরের বাসিন্দা পিয়ালি বসাক। সেই জয়ের দুদিন পরেই ফের নজির গড়লেন রাজ্যের এই মহিলা পর্বতারোহী। জানা যাচ্ছে এভারেস্টের পর এবার লোৎসে শৃঙ্গ জয় করেছেন পিয়ালি। দু’দিনের ব্যবধানে জোড়া সাফল্য। আর পিয়ালির এই জোড়া সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রাজ্য তথা দেশের পর্বতারোহীরা। জানা যাচ্ছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭:২৩ মিনিটে পিয়ালির পরিবারের কাছে পৌঁছায় তাঁর লোৎসে শৃঙ্গ জয়ের খবর। মেয়ের এত বড় সাফল্য আনন্দে ভাষা হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। প্রসঙ্গত তিনিই প্রথম কোনও মহিলা পর্বতারোহী যিনি একই সঙ্গে দুটি শৃঙ্গ জয়ের নজির গড়লেন। শেষ পাওয়া খবরে পিয়ালি ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন বেস ক্যাম্পের দিকে।

উল্লেখ্য, এর আগে বাংলার আরও এক পর্বতারোহী ছন্দা গায়েন এভারেস্ট জয়ের পর লোৎসে জয় করতে গিয়েই প্রাণ হারান। বলা হয় এভারেস্টের থেকেও আরও ভয়ঙ্কর এই শৃঙ্গের যাত্রাপথ। ছন্দার এই অভিযানের সময় হঠাৎই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাঁর এমন মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে পিয়ালী যখন এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করে লোৎসের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন তখন আবহাওয়া কিছুটা ভাল ছিল। আর সঙ্গে ছিল পিয়ালীর অসম্ভব মনের জোর এবং হার না মানার জেদ। আর তাতে বল করেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন চন্দননগরের কাঁটাপুকুরের এর বাসিন্দা পিয়ালি।

পরিবার সূত্রে খবর, পর্বতারোহী পিয়ালি ছোট থেকেই এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখলেও পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থাভাব। কিন্তু এই সমস্ত বাধা-বিপত্তির কাছে হার না মেনে টাকা ধার করেই এভারেস্টের পথে পা বাড়ান তিনি। পিয়ালির মা জানিয়েছেন, ১২ লক্ষ টাকা দেনা রয়েছে তাঁদের। মেয়ের এই সাফল্যে সকলে শুভেচ্ছার বন্যা বইয়ে দিলেও ধারের টাকা কিভাবে শোধ হবে তাই নিয়েই আপাতত চিন্তায় বসাক পরিবার।

 অন্যদিকে পিয়ালির লোৎসে জয়ের খবর প্রকাশে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বহু মানুষ। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলও টুইটারে পিয়ালিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর এই জোড়া সাফল্যের জন্য। আপাতত সকলেই তাকিয়ে কখন ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরবে। মেয়ে বাড়িতে ফিরলেই তাঁকে বিরিয়ানি খাওয়াবেন এমনটাই জানালেন পিয়ালির মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − seven =