নারী সুরক্ষায় দেশের শীর্ষে কলকাতা, রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট কেন্দ্র

নারী সুরক্ষায় দেশের শীর্ষে কলকাতা, রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট কেন্দ্র

কলকাতা: ধর্ষণ বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্ভোগকে আধুনিক সমাজের এক চরমতম অভিশাপ বলা চলে। আর বিশ্বের দরবারে ভারতের সমস্ত সাফল্যকে ম্লান করে দিয়ে পরিসংখ্যান জানান দেয়, মহিলাদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হল ভারতবর্ষ। একুশ শতকের ভারতের ‘প্রগতিশীল’ সমাজে দাঁড়িয়েও নারীদের অবস্থানটা যখন বারবার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়, যখন দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিনই উঠে আসে ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য ঘটনা, তখনই নারীদের জন্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে উঠে এল তিলোত্তমার নাম।

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাই হল মেয়েদের জন্য ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ সুরক্ষিত শহর, এমনটাই জানানো হল সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। বুধবার রাজ্যের তরফে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই দাবি করা হয়। উল্লেখ্য, রাজ্যের এহেন দাবির কিন্তু কোনোরকম বিরোধিতা করে নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদীয় কমিটির কাছে নারী সুরক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্টটি পেশ করেন। সূত্রের খবর, কমিটি ওই রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

রিপোর্ট পেশ করার পর স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা এদিন কলকাতার প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ।তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতি তথা শিক্ষায় গোটা দেশকে পথ দেখিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আজও সেই ধারা অব্যাহত।’ একই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসাররাও। তাঁরা এ বিষয়ে মুখ খোলেন নি।

বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর সঙ্গে রাজধানীতে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি এবং রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্রও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে তাঁরা যে রিপোর্ট পেশ করেন তার নাম ছিল “পিস টু প্রসপারিটি” (Piece to Prosperity)। ৪২ পাতার ওই রিপোর্টই মন জয় করেছে কেন্দ্রের। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের কাজে তাঁরা সন্তুষ্ট।

তবে একইসঙ্গে হরিয়ানার নারী সুরক্ষা রিপোর্টও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। কিন্তু তাদের রিপোর্ট বেশ উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হয়েছে। বিজেপি শাসিত হরিয়ানার রিপোর্ট অনুযায়ীধর্ষণের অপরাধে সে রাজ্যের গড় ১০.০৮ %। সেখানে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী শাসিত বাংলায় ওই গড় মাত্র ২.২%।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *