অশোকনগর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাসের অভিযোগে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অশোকনগর থানা এলাকায়৷ ওই নার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত চিকিৎসক তুহিন রায়কে৷ বৃহস্পতিবার ধৃতকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে বারাসত আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার রাতে অশোকনগর থানা এলাকার এক যুবতী পেশায় নার্স তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চিকিৎসক তুহিন রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে থেকেই চিকিৎসক তুহিন রায়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। পরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অভিযুক্ত ওই মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাসে মিলিত হন ওই চিকিৎসক৷
বেশ কিছুদিন শারীরিক সম্পর্ক চলার পর ওই তরুণী বিয়ের জন্য বলেন৷ অভিযোগ, তখন থেকেই অভিযুক্ত চিকিৎসক ধীরে ধীরে ওই নার্সকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন৷ তৈরি করেন সম্পর্কে দূরত্ব৷ এমনকি ইদানিং যোগাযোগও প্রায় বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে তরুণীর দাবি, তিনি বারংবার ওই চিকিৎসকে বোঝাতে চেয়েছেন৷ কিন্তু উল্টে অপমানিত হতে হয়৷
এরপরই বাধ্য হয়েই অশোকনগর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার রাতে অশোকনগর আট নম্বর মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসকে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। হাবড়ার প্রফুল্লনগর এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক তুহিন রায় গোপালনগরের পাল্লা এলাকার একটি সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন৷
যুবতীর আনা সহবাসের অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি ওই চিকিৎসক৷ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘মুখ পরিচিতি ছিল৷ সম্পর্কের অভিযোগ ঠিক নয়৷ টাকার জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছেন ওই তরুণী।’’ পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে দু’পক্ষেরই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷