কলকাতা: যাঁরা শারীরিক ভাবে অক্ষম, তাদের ভোটের কাজে পোলিং অফিসার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এমনটা স্পষ্ট করে দিয়েছে। আসলে শারীরিকভাবে অক্ষম হওয়া সত্ত্বেও কিছুজনকে ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের একাংশ, শিক্ষানুরাগী যৌথ মঞ্চ। সেই মামলাতেই আজ স্পষ্ট নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ছিল, পঞ্চায়েত ভোট দোরগোড়ায় চলে এলেও পোলিং অফিসারদের নিয়ে দোলাচল চলছে। ভোট গ্রহণের দায়িত্ব নেওয়ার লোকের অভাব দেখা দেওয়ায় নাকি শারীরিকভাবে অক্ষম সরকারি শিক্ষকদেরও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এমন কাউকে ভোটের দায়িত্বে নিতে পারবে না নির্বাচন কমিশন। তবে আদালতের রায় আসার পরেও দুশ্চিন্তা কাটছে না এই সংগঠনের। তাদের বক্তব্য, এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে নোটিশ জারি করতে হবে। তা না হলে আবার আদালত অবমাননার মামলা করা হবে তাদের বিরুদ্ধে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আসলে এর আগেও লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ ভাবে সক্ষম সরকারি শিক্ষকদের ডাকা হয়েছিল বলে জানান হয়েছে। ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ শারীরিকভাবে অক্ষম শিক্ষকদের পঞ্চায়েত ভোটে ডিউটি করার জন্য প্রশিক্ষণের চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন, এটাই জানা গিয়েছিল। তাই এখন আরও বেশি সতর্ক হচ্ছে সরকারি শিক্ষকদের একাংশের এই সংগঠন।