কলকাতা: চলতি বছরের মার্চ মাসে এক নাবালিকাকে পাচারের অভিযোগ ওঠে। ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেন এক যুবক, যিনি নাবালিকার প্রেমিক বলে জানা যায়। কিন্তু অভিযোগ, তার বিরুদ্ধেই এফআইআর রুজু করে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় হতবাক হয়েছে খোদ কলকাতা হাইকোর্ট। কাঠগড়ায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। এছাড়া ছবি প্রকাশের মতো অনৈতিক কাজের জন্যে বিধি ভঙ্গের অভিযোগে একাধিক অফিসারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পকসো আইনের দায়ের হওয়া এক মামলায় নাবালিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে যে এই উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে তাঁকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এতেই আদালতের প্রশ্ন, যিনি নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে বাঁচলেন তাঁকেই অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করার কারণ কী? তার মানে কি চক্র যাতে চলতে পারে, পুলিশ সেই রাস্তা করে দিচ্ছে? আদালতের এও পর্যবেক্ষণ, নাবালিকার জবানবন্দিতে স্পষ্ট রয়েছে যে ওই যুবক তাকে উদ্ধারে সাহায্য করেছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, মামলার সিডিতে নাবালিকার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। মামলার কেস ডায়েরিতে পাচার হওয়া নাবালিকার ছবি সহ বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে বাগুইহাটি থানার পুলিশ। এতে বিতর্ক বেঁধেছে।
এই তথ্য দেওয়ার কারণে বাগুইহাটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শান্তনু সরকার ও তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিৎ দাসকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। পুলিশ কেন ওই নাবালিকার গোপন জবানবন্দী নিল না, নাকি দেখেও ভ্রুক্ষেপ করল না, এদিন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।