নিজস্ব সংবাদদাতা, ক্যানিং: মঙ্গলবার ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে বাঁশড়ার ১৮ বিঘা মাঠ থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুললেন বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ৷ এদিন কাটমানি নিয়ে সরাসরি দায়ী করেন মমতা সরকারকে৷ বলেন, যারা কাটমানি খাচ্ছে তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে মমতার সরকার৷ এদিন প্রথমে মঞ্চে জনতার উদ্দেশে বক্তব্য বলেন ভারতী৷ তারপর সভা শেষে মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের৷ ভারতীর কথায়, বাংলার মানুষ মমতাকে ভোটে হারিয়ে সোজা পাঠিয়ে দেবে পাকিস্তানে৷
এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক স্লোগান তোলেন ভারতী৷ বলেন, ‘খোকাবাবু তোলাবাজ, উপড়ে ফেলো গুণ্ডারাজ’৷ ভারতীর স্লোগান, তৃণমূলকে খাটে তোল হরিবল হরিবল৷ এদিন ভারতীর এই স্লোগানে গলা মেলাতে শোনা যায় বিজেপি সমর্থকদের৷ এদিন কাটমানি প্রসঙ্গ সরাসরি মমতার সরকারকে বিঁধলেন ভারতী৷ তিনি বলেন, ‘তৃণমূল সরকার ১০০ দিনের কাজের জন্য মানুষকে নেওয়া হয় না। জেসিবি মেশিন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষকে বলা হচ্ছে ঘরে বসে থাক। মানুষের ব্যাঙ্কে টাকা এসে যাচ্ছে। তারপর মানুষকে বলা হচ্ছে পাস বই গুলি দিয়ে দাও।ব্যাঙ্কের পাস বই গুলি নিয়ে নিচ্ছে।অধিকাংশ টাকা নিয়ে নিচ্ছে, কিছু টাকা লোককে দিয়ে দিচ্ছে।এইটা মানুষ আর সহ্য করতে পারছে না।’
এদিন রাজ্য বিজেপির সহ- সভানেত্রী ভারতী ঘোষ আরও বলেন, মমতার শাসনে বাংলার সভ্যতা-সংস্কৃতির চরম অধঃপতন ঘটেছে। একইসঙ্গে ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি৷ বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে পুলিশ কে টেবিলের তলায় লুকোতে হবেনা। শিক্ষকরা যোগ্য সম্মান পাবে৷ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। বিধবা মায়েরা ভাতা পাবেন। মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন।মোদিজী কাশ্মীর কে জুড়ে দিয়ে অখন্ডতা রক্ষা করেছেন। মোদিজী এখানকার মানুষের কল্যাণের জন্য কি করেননি।আমফানের ত্রাণের জন্য এক হাজার কোটি টাকা পাঠিয়ে ছিলেন।আমফানের টাকা চুরি হয়েছে কিনা তা হাইকোর্ট সিএজিকে দিয়ে অডিট করতে বলেছে।