গড়বেতা: তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান দেওয়ার পরে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মূলত ভাইপো নাম নিয়ে কটাক্ষ করে এবং রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করে ভুরিভুরি অভিযোগ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে দাবি করেছেন, বাংলায় তিনি বিজেপি সরকার গঠন করাবেন। পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছেন, বাংলায় বিজেপি না এলে উন্নয়ন হবে না। এদিন গড়বেতার সভা থেকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে বাংলা তুলে দেওয়ার আর্জি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বিজেপি নেতা বলেন, রাজ্যের সকল মানুষকে জানাতে চান যে, পশ্চিমবাংলাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে না দিলে এই রাজ্য এগোতে পারবে না, এগোতে পারে না। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু দাবি করেন, প্রত্যেক বছর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে এবং শিক্ষক নিয়োগ হবে। বারবার অভিযোগ কথা হচ্ছে যে তাঁর সঙ্গে নাকি বিজেপির ডিল হয়েছে। আদতে কি ডিল হয়েছে সে ব্যাপারে এদিন ফের খোলাসা করেন শুভেন্দু। বলেন, টেট পরীক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের খাতা বদল হবে না, এই ডিল হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে। একইসঙ্গে শুভেন্দু জানান, রাজ্যের আলুচাষিদের সর্বনাশ করার পেছনেও হাত রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।
কৃষক আইন নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কৃষক আইন এর যারা বিরোধিতা করছেন তারা আইন পড়তে জানেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকদের পক্ষে তা বিগত বছরে কেউ নিতে পারেননি। কৃষক আইন লাগু হবার পর বিহার রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। দেশে গণতন্ত্র শেষ কথা, সেই গণতন্ত্রের মূল কান্ডারী সাধারণ জনগণ। তারাই দেখিয়ে দিয়েছেন কে কাজ করেছে আর কে করেনি। একইসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, বিহারের মতোই রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে, জম্মু-কাশ্মীরেও বিজেপির জয় লাভ হয়েছে।