অগ্নিমূল্য বাজার, তবুও ঘরের লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ঠ করতে চেষ্টায় ত্রুটি রাখতে নারাজ

অগ্নিমূল্য বাজার, তবুও ঘরের লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ঠ করতে চেষ্টায় ত্রুটি রাখতে নারাজ

9850ac9b3783d97cc3273a7ff63c2cba

 

বাঁকুড়া: রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষী পুজো। ঘরে ঘরে পুজিতা হবেন দেবী। কিন্তু তার আগে বাজারে বেরিয়ে মাথায় হাত মধ্যবিত্ত বাঙালির। মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের চকবাজার সহ অন্যান্য বাজারগুলি ঘুরে দেখা গেল সবজি থেকে ফল, এমনকি প্রতিমার দামও বেশ চড়া। ফলে বাজেটে কাঁটছাঁট করতে হচ্ছে অনেককেই। এমনটাই জানিয়েছেন ক্রেতা সাধারণ।

এদিন বাঁকুড়া শহরের বাজার গুলিতে টমেটো ১০০, পটল ৬০, ঝিঙা ৬০, লাউ ৩০, পালং শাক ২০০, ফুলকপি ৮০, বাঁধাকপি ৪০,  ভেণ্ডি ৬০,  শশা ৫০, বরবটি ৮০, বেগুন ৫০, মুলা ৮০, কুন্দরি ৪০, কাঁচালঙ্কা ১০০, গাজর ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ফরের বাজারেরও অবস্থা তথৈবচ। ডাব ৪০ টাকা প্রতি পিস্, কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা ডজন, আপেল ১০০, লেবু ৮০, নাসপাতি ১৫০, নারকেল ৬০, বেদানা ২০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে। প্রতিমার দামও ন্যুনতম ২০০ টাকা।

এদিন লক্ষীপুজোর বাজার করতে আসা উদয় নারায়ণ ঘোষদস্তিদার, বিশ্বজিৎ সিনহারা বলেন, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। এর মধ্যে বাড়িতে লক্ষীপুজো। তাই সাধ আর সাধ্যের ফারাক বুঝে বাজেটে কাঁটছাট করতে হচ্ছে বলে তারা জানান। তবে আয়োজনে কেউই ত্রুটি রাখতে চাইছেন না৷ কারণ, মা লক্ষ্মীর হাত ধরেই ঘরে আসবে সমৃদ্ধি। তাই পুজোয় কোনওরকম কাপর্ণ্য চান না কেউই। কারণ, কোজাগরী পূর্ণিমায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লক্ষ্মীর আরাধনা হচ্ছে৷ অন্যদিকে বিক্রেতা নারায়ণ চন্দ্র সেন বলেন, পুজোর মরশুমে সব কিছুর দাম বেশী, ফলে বিক্রি তেমন নেই বললেও চলে। মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম জিনিস কিনছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *