কলকাতা: গরিব, দুঃস্থ পরিবারের মেয়েদের বিয়ের সময় পাশে দাঁড়াতে রূপশ্রী প্রকল্প চালু করেছে তৃণমূল সরকার৷ শর্ত, পরিবারের আয় দেড় লক্ষ টাকার কম হতে হবে৷ সেই সকল পরিবারের বিবাহযোগ্য মেয়েদের প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার৷ কিন্তু এই প্রকল্পেই দেদার দুর্নীতি৷ আবেদন খতিয়ে দখে রীতিমতো ভিড়মি খেলেন নাকাশি পাড়া ব্লকের কর্তারা৷
আরও পড়ুন- হটস্পটে দাঁড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা বললেন, ‘আমিও হেভিওয়েট’
আবেদনের ভিত্তিতে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, আবেদনকারীদের মধ্যে কেউ পুরনো ঋণ পরিশোধ করতে চায়, কারও আবার প্রয়োজন মেটানোর তাগিদ৷ কেউ আবার নিছক বেড়াতে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন৷ রূপশ্রী প্রকল্পে সরকারের ঘর থেকে টাকা হাতাতে অবস্থাপন্ন পিতাকেও বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে দিনমজুর৷ কখনও আবার বিবাহিত মেয়েকে দেখানো হচ্ছে বিবাহযোগ্য হিসাবে৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ১০টি পরিবারকে শো-কজ করা হয়েছে৷ কী কারণে মিথ্যে নিথি দেখিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পে তাঁরা আবেদন করলেন, প্রশাসনের তরফে সেই জবাব তলব করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- সামান্য কটা টাকার জন্য মায়ের সামনেই ছেলেকে গুলি করে খুন
এই দশ পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার শালিক গ্রামের৷ আবেদনকারী পাপিয়া খাতুনের ভাই সেলিম মণ্ডল বলেন, ‘‘বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু বাবা দিনমজুর৷ আর্থিক অনটনে জেরবার পরিবার৷ সেই অভাব মেটাতেই আবেদন করেছি৷’’ আবার গিরিধারীপুরের বাসিন্দা সালমা সুলতানার বাবা জাহাঙ্গির বিশ্বাসের কথায়, ‘‘নিয়ম মেনেই রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলাম আমরা৷ কিন্তু পারিবারিক সমস্যার জেরে সাহায্য পাওয়ার আগেই মেয়ের বিয়ে দিতে হয়েছে৷’’
তবে বিরোধী শিবিরের দাবি, শাসক দলের মদতেই এই অনিয়ম চলছে৷ এর পিছনে রয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা৷ তাঁদের দাবি, এই দুর্নীতির পিছনেও রয়েছে কাটমানি৷