কাকদ্বীপ: ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির শেষ দিনে কাকদ্বীপে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নামখানার ইন্দিরা ময়দানে অভিষেকের সভায় বক্তব্য রাখেন মমতা। সেই সভা থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা ইস্যুতে মুখ খুলে বিরোধীদের একহাত নিলেন তিনি। মনোনয়ন নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগ করছে তা মিথ্যে দাবি করে মমতা স্পষ্ট বললেন, এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এর আগে বাংলায় হয়নি।
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতের পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার কথা তুলে ধরেছিলেন। সাংবাদিকদের সামনে তাঁর বক্তব্য ছিল, বাম আমলের পঞ্চায়েত ভোটে অনেক বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। এদিন কাকদ্বীপ থেকে মমতা বলেন, ২ লক্ষ ৩১ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে। তৃণমূলের ৮২ হাজার, বাকি বিরোধীদের। তাহলে যারা বলছে মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না, তারা কীসের ভিত্তিতে বলছে। তিনি এও বলেন, ২-৩ বুথে ঝামেলা হলে সেটাই বেশি বেশি করে দেখানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, আগেই মমতা অতীতের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন জানান, ২০০৩ সালে সিপিএম-এর আমলে সম্ভবত ৩৬ জন মারা গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত ভোটের দিন। ২০০৮ সালেও অনেকে মারা গিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে মীরা পাণ্ডে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসেছিলেন। তাও ৩৯ জন মারা গিয়েছিলেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ভোট কাটতে বাম, কংগ্রেসের জোট প্রার্থীকে সমর্থন বিজেপি ! West Bengal Panchayat Election 2023″ width=”789″>
এদিন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েও সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, এর আগে কী করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? আগের ভোটেও বাহিনী মোতায়েন ছিল তাও মানুষ মারা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি শীতলকুচির কথা তুলে বলেন, সেখানেও ৪ জনকে গুলি করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গেও এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করেছে বিএসএফ বলে দাবি করেন মমতা।