কলকাতা: করোনা সন্দেহে ভর্তি হওয়া রোগিণীর মৃত্যু এনআরএস হাসপাতালে৷ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী বিশেষ রাসায়নিক মাখিয়ে প্লাস্টিক জড়িয়ে দেহ সংরক্ষণ করা হয়েছে৷ রাখা হয়েছে মর্গে৷ রিপোর্ট নেগেটিভ হলে পরিবারের হাতে মরদেহ তুলে দেওয়া হবে৷ আর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হলে নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুযায়ী শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে এনআরএস হাসপাতাল সূত্রে খবর৷
বছর ত্রিশ বছরের বনগাঁর বাসিন্দা এক মহিলা গতকাল রাত দশটা নাগাদ এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া রোগে ভুগছিলেন৷ প্রবল জ্বর ও শ্বাসকষ্টের লক্ষণ নিয়ে গত রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি৷
চিকিৎসকরা জানতে পারেন, ওই রোগী সদ্য চেন্নাই থেকে ফিরেছেন৷ চেন্নাইতে তিনি গিয়েছিলেন চিকিৎসা করানোর জন্য৷ ভিন রাজ্য থেকে আসার কারণে ওই রোগীকে করোনাভাইরাস সন্দেহভাজনদের নির্দিষ্ট ওয়ার্ড সেখানে ভর্তি করানো হয়৷ পরে ওই রোগিণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ যদিও সেই রিপোর্ট না আসার আগে রোগিণীর মৃত্যু হওয়ায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা৷
রিপোর্ট আসার আগেই রোগীনির মৃত্যু হওয়ার কোনও রমক ঝুঁকি নিতে নারাজ চিকিৎসকরা৷ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে না৷ ইতিমধ্যেই মর্গে দেহ বিশেষভাবে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে৷ রিপোর্ট আসার পর পরিষ্কার হবে ওই রোগীর মৃত্যুর কারণ কী৷ রিপোর্ট পজিটিভ হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে পৃথক ভাবে৷ আর রিপোর্ট পজেটিভ না হলে মরদেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷
যদিও, আজ রাতের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে সাফ উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আক্রান্ত ২২ জন৷ সেই খবর আগেই প্রকাশ করেছে আজ বিকেল ডট কম৷ তবে, ওই রোগিণীর মৃত্যুর বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত বুলেটিনে প্রকাশিত হয়নি৷ ফলে ওই রোগিণীর রিপোর্ট নেগেটিভ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ প্রথম পর্বে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাস্থ দপ্তরের বুলেটিন প্রকাশিত হয়নি৷ ফলে, তখন সরকারি তথ্য পাঠকের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন প্রকাশ হতেই দ্বিতীয় ধাপে রাত সাড়ে নটা নাগাদ এই প্রতিবেদনটি আপডেট করা হয়েছে৷ যাতে, এই প্রতিবেদন নিয়ে পাঠকের মধ্যে কোনও বিভ্রান্তি তৈরি না হয়৷