কলকাতা: হাসপাতালে ভর্তি হয়েও বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল এসএসকেএম হাসপাতালে৷ ২৭ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গের ভক্তিনগরের বাসিন্দা রতন শীলকে৷ অভিযোগ, ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় তাঁকে৷ এর পর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর৷
আরও পড়ুন- তৃণমূল নেতারা পোড়া বিড়ি নিভিয়ে খেতেন, এখন তুলো গোঁজা সিগারেট খান: শুভেন্দু
এখানেই শেষ নয়৷ এর পরেও চলছে ভোগান্তি৷ প্রায় ২৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও দেহ পায়নি পরিবার৷ ময়নাতদন্তের পরও পুলিশি টানাপোড়েনে হাসপাতালের মর্গেই পড়ে রয়েছে রতন শীলের দেহ৷ জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেল ৩টে নাগাদ শেষ হয় ময়নাতদন্ত৷ সাড়ে তিনটের মধ্যে পরিবারের হাতে কাগজপত্র দিয়ে দেওয়া হয়৷ সেই কাগজ নিয়ে ভবানীপুর থানায় যায় রতন শীলের পরিবার৷ নিয়ম মেনে ভক্তিনগর থানার আইসিকে ইমেল করে ক্লিয়ারেন্স চান ভবানীপুর থানার ডিউটি অফিসার৷ জবাবে শুধু ‘ওকে’ লিখলেই হয়৷ কিন্তু সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত এটুকু লেখার সময় পাননি ভক্তিনগর থানার আইসি৷ ফোন করা হলেও কেটে দেওয়া হয়৷
২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় রতন শীলের পরিবারের এই লড়াই৷ তাঁকে বাঁচানো যাবে কিনা, তা নিয়ে টানা যুদ্ধর পর এখন তাঁর দেহ পাওয়ার অপেক্ষায় নাইট শেল্টারে প্রহর গুণছেন তাঁর স্ত্রী ও পরিবার৷ ২৬ হাজার টাকা খরচ করে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তাঁকে বাঁচানোর আশায় কলকাতায় ছুটে এসেছিল নিম্ন মধ্যবিত্ত এই পরিবার৷ কিন্তু এখানে ভুল ওয়ার্ডে রেখে কার্যত বিনা চিকিৎসায় তাঁর মৃত্যু হয়৷ আর এখন মর্গের বাইরে চাকত পাখির মতো রতন শীলের দেহ পাওয়ার অপেক্ষায় বসে রয়েছে তাঁর হতভাগ্য পরিবার৷ ঠাণ্ডার মধ্যেও কলকাতায় তাঁদের থাকার জায়গাটুকুও নেই৷ আশ্রয় বলতে নাইট শেল্টার৷
আরও পড়ুন- মার্চেই ব্রিগেডে মোদীর সভা? রথ যাত্রার পরে প্রস্তুতি সারবে বিজেপি
রতন শীলের পরিবারের এক সদস্য জানান, ভক্তিনগর থানায় ফোন করার পর মুখ্যমন্ত্রীর ডিউটি রয়েছে বলে প্রথমে তারা এড়িয়ে যান৷ কিন্তুন ভোর ৪টের সময় তাঁর গলা শুনে মনে হয় তিনি ঘুমাচ্ছিলেন৷ পরে ফোন করলে বলা হয় আগে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি ছাড়া হবে, তার পর ক্লিয়ারেন্স দেবে৷ পুলিশের কাছ থেকে ন্যূনকম সহায্যটুকু না পেয়ে চরম হেনস্থার শিকার এই পরিবার৷