ক্যাথিটার না পেয়ে রোগীর মৃত্যু, ফের দালাল রাজ সরকারি হাসপাতালে

ইংরেজবাজার: টাকা না দিতে পারায় মিলল না বেড, ক্যাথিটার। কোলের উপর মৃত্যু হল যদুপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ইয়াজুল শেখের ছেলের। এই নির্মম চিত্র ধরা পড়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সরকারি হাসপাতাল জুড়ে অবাধে দালাল রাজের অভিযোগ করেছেন ইয়াজুল শেখ। সূত্রের খবর, পেটের সমস্যা নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন ইংরেজ বাজারের যদুপুর ১

ক্যাথিটার না পেয়ে রোগীর মৃত্যু, ফের দালাল রাজ সরকারি হাসপাতালে

ইংরেজবাজার: টাকা না দিতে পারায় মিলল না বেড, ক্যাথিটার। কোলের উপর মৃত্যু হল যদুপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ইয়াজুল শেখের ছেলের। এই নির্মম চিত্র ধরা পড়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সরকারি হাসপাতাল জুড়ে অবাধে দালাল রাজের অভিযোগ করেছেন ইয়াজুল শেখ।

সূত্রের খবর, পেটের সমস্যা নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন ইংরেজ বাজারের যদুপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রমজান শেখ। তার বাবা ইয়াজুল শেখ পেশায় শ্রমিক। তার অভিযোগ হাসপাতালে বেড জোগাড় করার জন্য তার কাছ থেকে ২০০ টাকা দাবি করা হয়। ইয়াজুল শেখ তা দিতে রাজি হয়নি। ভোর পাঁচটা নাগাদ রমজানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ক্যাথিটার লাগানোর নির্দেশ দেন। নার্সের কাছে ক্যাথিটারের খোঁজ করলে তারা রোগীর পরিবারের লোকজনকে হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেয়। ক্যাথিটারের জন্য ফের ২০০ টাকা দাবি করা হয় রোগীর পরিবারের কাছে।

রমজানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে দেখে পাশে থাকা রোগীর পরিবার ওয়ার্ডবয়কে ক্যাথিটার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কারোর অনুরোধে কর্ণপাত না করে তারা সাফ জানিয়ে দেয় টাকা না দিলে কোন রকম পরিষেবা মিলবে না। চিকিৎসার অভাবে পড়ে থেকে মৃত্যুর সঙ্গে টানা দু ঘন্টা লড়াই করার পর মৃত্যু হয় রমজানের। রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, ভোটের মুখে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে সরকারি হাসপাতাল গুলিতে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা। তার পরেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে মৃত্যু হচ্ছে রোগীর। অবাধে চলছে দালাল রাজ, টাকার জন্য জুলুম। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের রোগী মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসার প্রতিশ্রুতিই কি সার? উঠছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 2 =