কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “শিক্ষা দপ্তরের ঐতিহাসিক কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হয়েছে। যা রিপোর্ট কার্ডে সবটাই প্রকাশিত করা সম্ভব নয়। এছাড়াও বহু কাজ আমাদের হয়েছে। যার জন্য জন্য বিভাগীয় দপ্তর তার সাফল্যে খতিয়ান তুলে ধরেছে।”
তিনি বলেন, “আমি শুধু আপনাদের জানাতে চাই শিক্ষা, ক্রীড়া, শিল্প, সংস্কৃতি ব্যয় বরাদ্দ যেখানে ২০১০-১১ অর্থবর্ষে ১৩ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা, তা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে। ৩৭ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। আপনারা সকলেই জানেন কন্যাশ্রী প্রকল্পে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের কাছ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী প্রকল্পে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পান। সম্প্রতি রাজ্যের সকল কন্যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, আয় নির্বিশেষে এই প্রকল্পটি যোগ্য বলে পরিগণিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের ৬ হাজার ৭২০ কোটি কোটি টাকা ব্যয় এর মাধ্যমে ৬৭.২৯ লক্ষ উপভোক্তাকে তাদের শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে।”
দ্বিতীয় প্রকল্পের কথা তিনি উল্লেখ করেন সবুজ সাথী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই প্রকল্পের নামকরণ করেন, সূচনা করেন। সবাই যাতে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারেন তার জন্যই প্রকল্পের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৮৪ লক্ষ সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। সবুজ সাথী আইসিটি অ্যাপ্লিকেশনে জাতিসংঘের WSS খেতাব সেরা পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে স্থান পায়। এটি একটি ঐতিহাসিক স্বীকৃতি। জাতিসংঘের শিক্ষার প্রগতির লক্ষ্যে ৯২ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী স্কুলের পোশাক এবং ১১৩ ছাত্র-ছাত্রী মিড ডে মিলের আওতায় এসেছে।”
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “সবচেয়ে বড় কথা আমাদের পরিকাঠামো। ২০১০ সাল থেকে ৩০ টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, ৫০টি নতুন কলেজ ৭৮ টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ৩৬টি পলিটেকনিক এবং ৯৫ হাজার ৩৭৮টি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ করে উঠেছে। এছাড়াও আমাদের বাংলার পোর্টাল রয়েছে। স্কলারশিপ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের।” এরপর বিজ্ঞানী ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবুল কালামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জ্ঞান সর্বশ্রেষ্ঠ। আমরা রাজ্য সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নত মানের শিক্ষার সুযোগ দিতে বদ্ধপরিকর। এই দুটো বিষয়ে প্রারম্ভিকভাবে আমরা রাজ্যের মানুষের কাছে শিক্ষায় প্রচুর কাজ আমাদের হয়েছে। আমরা অনলাই শিক্ষা ব্যবস্থা করেছি। অনলাইন ব্যবস্থা করেছি। টিভি ও রেডিওর মাধ্যমে শিক্ষার বন্দোবস্ত করেছি। এক কথায় শিক্ষাকে চলমান রেখে, উৎকর্ষতাতে মাথার উপরে তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যারে নেতৃত্বেসরকার সমস্ত ছাত্রছাত্রী, যুবসমাজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।”