‘চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে না এলে…’, আক্ষেপেই জেলের প্রথম রাত কাটলেন পার্থ

‘চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে না এলে…’, আক্ষেপেই জেলের প্রথম রাত কাটলেন পার্থ

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বর্তমান ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পয়লা বাইশ’ সেল৷ তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত৷ শুক্রবার রাতে জেলে পা রাখার পরই হতাশ হয়ে পড়েন তিনি৷ বেসরকারি সংস্থায় উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে কেন রাজনীতিতে এলেন, তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করতেও শোনা যায় তাঁকে৷ জেলকর্মীদের সামনেই তিনি বলেন,‘‘রাজনীতিতে না এলে হয়তো এই দিন দেখতে হত না।” 

আরও পড়ুন- প্রেসিডেন্সি জেলে পার্থের প্রতিবেশী সুদীপ্ত-গৌতম, এই সেলে বাকি হাই প্রোফাইল বন্দি কারা?

 

প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে প্রথম দিন কার্যত বিনিদ্র রজনী কাটলেন পার্থ৷ বিশ্রাম নিলেও ঘুমতে পারেননি৷ ‘পয়লা বাইশ’-এর ২ নম্বর সেলে  রয়েছেন তিনি। এই সেলে একাই রয়েছেন তিনি৷ অন্যান্য কয়েদিদের মতোই তাঁকে রাতে চারটি কম্বল দেওয়া হয়৷ সেগুলি মাটিতে বিছিয়েই শুয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ রাতে জেলের খাবার দেওয়া হয় তাঁকে। মেনুতে ছিল, রুটি-সবজি আর ডাল। সামান্য পরিমাণ খাবার মুখে তোলেন তিনি৷ শনিবার সকালে তাঁকে চা-বিস্কুট খেতে দেওয়া হয়৷ সঙ্গে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট ওষুধ। 

শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট৷ তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে পার্থ-অর্পিতাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। শুক্রবার রাতেই তাঁদের জেলে নিয়ে আসা হয়৷ ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানেই রাখা হবে তাঁদের। 

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ”তাঁর মক্কেল কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি নন, তিনি একজন সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনে তিনি বিধায়ক পদও ছাড়তে প্রস্তুত৷ তিনি পালানোর লোক নন।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ”পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। ঘুষ নেওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। যেসকল তথ্য, দলিল উদ্ধার হয়েছে সবটাই নকল।”