কলকাতা: রাজ্য বাজেটে যে কর ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে, তা কার্যকর হলে সরকারের ১৫০ কোটি টাকার লোকসান হবে বলে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। শারিরীক অসুস্থতার কারণে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের পরিবর্তে রাজ্য বিধানসভায় আজ অর্থ বিল নিয়ে আলোচনার শেষে জবাবী ভাষণে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বর্তমান অতিমারি পরিস্থিতিতে বহু মানুষ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। স্ট্যাম্প ডিউটি ২ শতাংশ কমানো ও রোড ট্যাক্স মুকুব করায় কিছুটা সুবিধা হবে। পরিষদীয় মন্ত্রী জানান, এই পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি রয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত ঋণ নেওয়া প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, বাধ্য হয়ে এই ঋণ নিতে হয়েছে। কারণ সরকার পরিবর্তন হয়।পূর্ববর্তী সরকারের দায় পরবর্তী সরকারকেই নিতে হয়। তবে মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন আটকে রাখা যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে ঋণ নিতে হয়েছে। কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলেও তা রাজ্যের মধ্যেই। রাজ্য সরকার ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি মানুষের উন্নয়ন করবে। বিলের ওপর আলোচনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের রাজস্ব আদায়ে অনেক ত্রুটি আছে। সেবিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এর জন্য মোটর যান, আবগারি সহ বিভিন্ন কর আদায়ের ব্যবস্থা করা দরকার। তিনি আরও জানান, বিধানসভায় ২০১৭ সাল থেকে সিএজি-র রিপোর্ট পেশ এবং ২০১২ সাল থেকে জিটিএ অডিট হয়নি। এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা এবং কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ২ হাজার কোটি টাকার ঋণ ফেরত দেওয়ার প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বিশেষ জোর দেন। আলোচনা শেষে ধ্বনি ভোটে বিলটি পাশ হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অপূর্ব সরকার, রফিকুল ইসলাম মণ্ডল প্রমূখ এই বিলের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন। অন্যদিকে, বিজেপির অশোক লাহিড়ী, বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা বিলের বিরোধিতা করেন।
আরও পড়ুন- কলকাতায় সেঞ্চুরি পেট্রোলের, গরুর গাড়ি চেপে অভিনব প্রতিবাদ মদন মিত্রের
যদিও আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট দাবি করে জানিয়েছেন যে, বিধানসভায় কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায় না। ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে শুরু করে, ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি, কোনও ইস্যুতে আলোচনা হয়নি। আবার পিএসি চেয়ারম্যান ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে চরম আক্রমণ করেন তিনি।