শিল্পে বিনিয়োগে অগ্রগতি, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক পার্থর

শিল্পে বিনিয়োগে অগ্রগতি, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক পার্থর

কলকাতা: রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগের জন্যে সিলিকন ভ্যালিতে বিভিন্ন সংস্থা এখনও পর্যন্ত ৩৯ একর জমি নিয়েছে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। রাজ্যে এই শিল্পে বিনিয়োগের অগ্রগতি নিয়ে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ কলকাতায় ১২৫ টি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। পরে তিনি বলেন, ইনফোসিস খুব শীঘ্রই এখানে তাদের প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। শুরুর ২০ মাসের মধ্যে তারা প্রকল্পের কাজ শেষ করবে বলেও পার্থ জানান। বিভিন্ন সংস্থা এখানে হাইপারস্কেল ডাটা সেন্টার তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও শিল্প মন্ত্রী জানিয়েছেন। রিলায়েন্স, ইয়োটা লিমিটেডের মত অগ্রনী সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকারের ইতিমধ্যে মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগের অগ্রগতি নিয়ে শিল্প দপ্তর প্রতি ছয় মাস অন্তর পর্যালোচনা বৈঠকে বসবে বলে পার্থ জানান।

আরও পড়ুন- চাকরির সুযোগ দিচ্ছে এসসিবি

রাজ্যে শিল্পায়নের জোর বাড়াতে এর আগে টাটাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেছিলেন, টাটা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও লড়াই ছিল না। বাংলায় তাঁদের স্বাগত! পার্থর কথায়, তখন সমস্যা ছিল বামেদের জোর করে জমি অধিগ্রহণ নীতি নিয়ে। গোটা বিশ্ব তথা ভারতের তাবড় তাবড় শিল্পগোষ্ঠীদের মধ্যে অন্যতম টাটা। ওদের দোষ দেওয়া যায় না। তাই লড়াই ওদের বিরুদ্ধে ছিল না। বাংলায় বিনিয়োগের জন্য ওদের সবসময় স্বাগত। তারও আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাটাকে রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলায় দুটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি হবে। যার একটি হবে কলকাতা এসএসকেএম-এ এবং অন্যটি হবে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আরও পড়ুন- গুগুলের সমতুল্য ড্রাইভ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন ব্যারাকপুরে ইঞ্জিনিয়ার

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, বাংলার কমপক্ষে ২৫ শতাংশ ক্যান্সার রোগী মহারাষ্ট্রে যান টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে। সেই কারণে তাদের আলাদা ঝুঁকি প্রভাতে হয় কারণ সেখানে আলাদা করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয় তাদের। সেই কারণেই রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার বাংলাতেই দুটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশা, এই দুটি হাসপাতাল তৈরি হয়ে গেলে রাজ্যের মানুষকে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য আর বাংলার বাইরে যেতে হবে না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − 3 =