কলকাতা: তাঁর মক্কেলকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। কিন্তু এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থের ভূমিকা ঠিক কী সেটাই জানতে চাইলেন তিনি। এদিন নিয়োগ মামলার শুনানিতে পার্থের জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতে একের পর এক যুক্তি দেন তাঁর আইনজীবী। একই সঙ্গে ইডির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তিনি। কিন্তু ঠিক কী যুক্তি তাঁর?
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনায় আহত কর্মচারীদের পাশে অটোমোবাইল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, চিকিৎসার অর্থও আদায় হল
পার্থের আইনজীবীর বক্তব্য, কেউ ওএমআর শিট তৈরি করেছে, কেউ প্রশ্নপত্র। এখানে মন্ত্রী কী করবেন? আর যেখানে দুর্নীতির অভিযোগের এফআইআরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কোনও নাম ছিল না, সেখানে কোনও প্রমাণ ছাড়া কী ভাবে তাঁকে ১০ মাস আটকে রাখা হচ্ছে? এমনই প্রশ্ন তাঁর। পার্থের আইনজীবী এও বলছেন, নিয়োগে যে দুর্নীতি বা সুপারিশের কথা বলা হচ্ছে তা অনেক নিচুস্তরের বিষয়। এখানে মন্ত্রীর কী ভূমিকা থাকতে পারে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তাঁর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদতে কী অভিযোগ, সেটাই এখনও পরিষ্কার নয়, তা স্পষ্ট করতে হবে। কিন্তু এইভাবে ‘মাস্টারমাইন্ড’ বা অন্য কিছু বলে তাঁকে আটকে রাখা যাবে না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ইডি-র নজরে শ্বেতা চক্রবর্তী! কীভাবে কোটি কোটির দুর্নীতিতে যোগ? Sweta Chakraborty under ED scanner” width=”853″>
বিষয় হল, এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং এই দাবিই করেছেন যে, তিনি নিয়োগ কর্তা নন, তাই নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর হাত নেই। এদিন আবার তিনি আদালতে ঢোকার আগে এও দাবি করেছেন, যে সমস্ত নেতারা এখন ‘বড় বড়’ কথা বলছেন তাঁরাই এক সময় চাকরির জন্য বিভিন্ন লোকের নাম পাঠিয়ে তদ্বির করেছিলেন। এক্ষেত্রে পার্থ নাম নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীর।