কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষা দফতর নিয়ে এতদিন ভুরি ভুরি অভিযোগ ছিল। বিগত কয়েক বছর ধরে একাধিক ইস্যুতে আন্দোলন এবং প্রতিবাদে দেখেছে শহর। এমনকি এখনও রাজ্যের শিক্ষা দফতর নিয়ে অভিযোগ কিছু কম নয়। তবে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের সাধারণ মানুষ পুনরায় ভরসা রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ওপর। সেই প্রেক্ষিতে হয়তো শিক্ষা দফতর নিয়ে আলাদা ভাবে ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই এবার নতুন মন্ত্রিসভায় শিক্ষা দফতর হাতছাড়া হল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এবার এই দফতরের দায়িত্ব পেলেন ব্রাত্য বসু।
এবারের মন্ত্রিসভার যে তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা গিয়েছে শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রাত্য বসুকে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন শিল্প এবং বাণিজ্যের দায়িত্ব। তবে শুধু যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দফতর বদলেছে তা নয়। দফতর বদল হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থেকে শুরু করে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন মন্ত্রীদের। শিল্প এবং বাণিজ্য ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিন ও সংসদ বিষয়ক দফতর হাতে পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হয়ে স্কুল শিক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত দায়িত্ব সামলাবেন ব্রাত্য বসু। অন্যদিকে, বিগত দুই বারের মতো এবারেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামলাবেন স্বরাষ্ট্র দফতর। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব নিয়েছেন নিজেই। এই দুই দফতর ছাড়া ভূমি এবং ভূমি সংস্কার, তথ্য এবং সংস্কৃতি, আর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে মনে করা হচ্ছিল যে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবারের নির্বাচন না লড়ায় তিনি হয়তো অর্থমন্ত্রী থাকবেন না। কিন্তু তৃতীয় বারের মন্ত্রিসভায় তিনি অর্থমন্ত্রী হিসাবেই ফিরে এলেন। অর্থ দফতরের পাশাপাশি পরিকল্পনা এবং পরিসংখ্যান দফতর পেয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়নের দফতর সামলাবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আগেরবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবার পেলেন বন মন্ত্রীর দায়িত্ব। খাদ্য দফতরের দায়িত্ব এবার সামলাবেন রথীন ঘোষ। এর পাশাপাশি ক্রীড়া দফতর হাতে পেলেন সেই অরূপ বিশ্বাস একইসঙ্গে এবার বিদ্যুৎ দফতর সামলাবেন তিনি।