কলকাতা: তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যেন পেঁয়াজের খোসার মতো খুলে যাচ্ছে একের পর এক রহস্যের জট৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ কুন্তলের দাবি, তাঁর সঙ্গে যোগ ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেক্রেটারির হাত দিয়ে ১৫ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রীকে৷ ইডি-র জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল৷
আরও পড়ুন- মাঘেই ফুরোল শীত! শহরে আরও বাড়ল তাপমাত্রা, শীত কি আর ফিরবে?
অভিযোগ, গ্রেফতার হওয়ার পর ইডি আধিকারিকদের তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না কুন্তল৷ তবে টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েন তিনি। তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যুক্ত থাকার কথা উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। তবে একসঙ্গে এই টাকা দেননি। কখনও নাকতলার অফিসে, কখনও শপিং মলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করতেন কুন্তল। তাঁর হাত দিয়েই টাকা পৌঁছে দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে৷
ধরা পড়ার পর থেকেই বারবার চক্রান্তের কথা উল্লেখ করেছেন হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ৷ প্রথমে তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুললেও, পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘আসল মাথারা ধরা পড়বে।’ কিন্তু, কে আসল মাথা? কেই বা চক্রান্ত করছেন? এ সব নিয়ে জল্পনার মাঝেই উঠে আসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম৷
বৃহস্পতিবার টানা প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা জেরার পর হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এই শান্তনুর হুগলি বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েই ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডের ফটোকপি উদ্ধার হয়েছে। ইডি’র অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করার জন্যও ওই ফটোকপিগুলি নেওয়া হয়েছিব। ওই চাকরিপ্রার্থীরা প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন কি না, তা জানতেই ফের শান্তনুকে জেরা করতে চান ইডি’র গোয়েন্দারা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>