অর্পিতাকে সঙ্গে নিয়ে বারুইপুরের বাগানবাড়িতে ‘বিশ্রাম’ নিতে যেতেন পার্থ! বলছেন স্থানীয়রা

অর্পিতাকে সঙ্গে নিয়ে বারুইপুরের বাগানবাড়িতে ‘বিশ্রাম’ নিতে যেতেন পার্থ! বলছেন স্থানীয়রা

c7727012d0d47e0b8618bc5e0027195f

কলকাতা: বেশ কয়েকবছর আগের কথা। বারুইপুরের একটি স্কুলে অর্পিতার হাত ধরে খিচুড়ি খেতে এসেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য-দেশ উত্তাল, তখন চর্চায় উঠে এল সেই বারুইপুরেরই একটি বাগানবাড়ি৷ বারুইপুরের বেগমপুর পঞ্চায়েতের কাটাখাল-উত্তরভার বাইপাস ধরে কিছুটা এগোলেই পুড়ি এলাকায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে সুবিশাল সেই বাগানবাড়ি। নাম ‘বিশ্রাম’। প্রথমসারির এক বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিশ্রামেই নাকি খানিক ‘বিশ্রাম’ নিতে আসতেন পার্থ ও অর্পিতা। তবে এই বিশ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও একটি বড় প্রশ্ন, ওই বাগানবাড়িটি আসলে কার নামে?

আরও পড়ুন- শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন পার্থর, মেলেনি সাড়া

স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা ওই বাগানবাড়িটি দেখাশোনা করেন। মাঝেমধ্যেই ‘বিশ্রাম’-এর দরজার বাইরে এসে থামত শিল্পমন্ত্রীর গাড়ি। তার সঙ্গে আরও গাড়িও থাকত। বারুইপুরে কোনও অনুষ্ঠান থাকলে ওই বাগানবাড়িতেই উঠতেন পার্থ। তাঁর সঙ্গে থাকতেন ‘বান্ধবী’ অর্পিতা।  বাড়ির পিছনে রয়েছে সুন্দর একটি পুকুর। সেই পুকুর পাড়ে বসে ছিপ ফেলতেন অর্পিতা। মূলত বিকেল কিংবা রাতের দিকেই তাঁরা এই বাগানবাড়িতে আসতেন। ঘণ্টা কয়েক সেখানে কাটিনোর পর ফিরে যেতেন৷ 

স্থানীয়দের কথায়, তৃণমূলের কয়েকজন নেতা কর্মীরও ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল। পার্থ যখন অর্পিতাকে সঙ্গে নিয়ে এই বাগানবাড়িতে আসতেন, তখন বিশেষ করে তৃণমূলের লোকজন এই বাড়ির কাছে পিঠে ঘোরাঘুরি করতেন। পরে এই বাড়িতে অর্পিতার যাতায়াত আরও বাড়ে৷ কিন্তু কেন ওই বাড়িতে তাঁর যাতায়াত বেড়েছিল তা নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে৷ 

প্রসঙ্গত, সরাসরি তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত নন অর্পিতা৷ এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি’র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর অর্পিতা নিজে জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও দল করেন না৷ তবে তাঁর বড় পরিচয় তিনি ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’৷ তাঁর ফ্ল্যাট থেকে ২২ কোটি টাকা, বিপুল সোনা-গয়না, ২০টি মোবাইল ফোনই শুধু উদ্ধার হয়নি৷ উদ্ধার হয়েছে ‘মিনিস্টার ইন-চার্জ এডুকেশন’ লেখা বেশ কয়েকটি খালি খাম৷ তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ওই খামে করেই বেআইনি নিয়োগের সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছিল। অর্পিতার এই ফ্ল্যাটই ছিল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মূল কেন্দ্র৷