পার্কস্ট্রিটের ভিড় ছাপিয়ে যায় কাশীপুরে, কেন?

তিয়াষা গুপ্ত: রাত ১১টা ৫৮….. রাত ১১টা ৫৯….. ঘড়ির কাঁটা ঢুকল ১২টায়। স্বাগত ২০১৯। প্রতিক্ষার অবসান। ২০১৮-কে বিদায় জানিয়ে ২০১৯-কে বরণ করে নিল গোটা দেশ। সব হারানোর জ্বালা ভুলে নতুনকে স্বাগত জানাল তিলোত্তমাও। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই নিকশ কালো আকাশ ভেদ করে আতসবাজির আলোর রোশনাই। যেন দীপাবলির রাত! পার্কস্ট্রিটে উপচে ভরা ভিড়। পরিপূর্ণ ডিস্কো থেকগুলো।

পার্কস্ট্রিটের ভিড় ছাপিয়ে যায় কাশীপুরে, কেন?

তিয়াষা গুপ্ত: রাত ১১টা ৫৮…..
রাত ১১টা ৫৯…..
ঘড়ির কাঁটা ঢুকল ১২টায়। স্বাগত ২০১৯।

প্রতিক্ষার অবসান। ২০১৮-কে বিদায় জানিয়ে ২০১৯-কে বরণ করে নিল গোটা দেশ। সব হারানোর জ্বালা ভুলে নতুনকে স্বাগত জানাল তিলোত্তমাও। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই নিকশ কালো আকাশ ভেদ করে আতসবাজির আলোর রোশনাই। যেন দীপাবলির রাত! পার্কস্ট্রিটে উপচে ভরা ভিড়। পরিপূর্ণ ডিস্কো থেকগুলো। শহরের সর্বত্র ধরা দিল ফেস্টিভ মুড। সব জ্বালা ভুলে `সিটি অফ জয়’ গা ভাসাল অনাবিল আনন্দে। বেলা গড়াতেই সব রাস্তা যেন গিয়ে মিশল কাশীপুর উদ্যানবাটিতে।

শহরে শীত ভালোই কামড় বসাতে শুরু করেছে। একদিকে শীতের আমজে, তার ওপর বর্ষবরণের আনন্দ-সবমিলিয়ে রাস্তায় ভিড় তো স্বাভাবিক। কলকাতা মানেই তো উৎসব আর উন্মাদনা। তা উপলক্ষ হলেই হল! নতুন বছরের প্রথম দিনটাকে বরণ করে নিতে শহরবাসী নেমে পড়েছেন রাস্তায়। অনেকে আবার গাড়ি হাঁকিয়ে শহর ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছেন কোনো পিকনিক স্পটে। তবে গরম বাধ না সাধলে এখনো পিকনিকের জন্য বেশ কয়েকটা দিন আছে।

এদিকে প্রতি বছরের মতো এবারও ১ জানুয়ারি দিনটিতে উৎসবমুখর কাশীপুর উদ্যানবাটি ও দক্ষিণেশ্বর। ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি এই উৎসব শুরু হয়েছিল। এই দিনটিতে রামকৃষ্ণ পরমহংস কল্পতরু হয়েছিলেন। সেই থেকে এই দিনটিতে তাঁর ভক্তরা কল্পতরু উৎসব পালন করে আসছেন। বিভিন্ন জায়গায় উৎসব পালিত হলেও কাশীপুর উদ্যানবাটিতে সবচেয়ে মহাসমারোহে কল্পতরু পালন হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসের অনুগামীরা তাঁকে কেন্দ্র করে চালু থাকা উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব বলে মনে করেন। দক্ষিণেশ্বরেও এই উৎসব পালিত হয়।

মঙ্গলারতি, চণ্ডীপাঠ, উপাসনা, গীতি আলেখ্য-নানা ভাবগম্ভীর আবহ তৈরি হয় এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠগুলিতে। মঙ্গলারতি দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। তারপর সারাদিন ধরে এক অন্যরকম আধ্যাত্মিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে উৎসব পালন হয়।

দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অনেকে রাত থেকে চলে এসেছেন।
কার্নিভাল,পার্টি কিংবা অধ্যাত্মবাদ- আনন্দে আর আহ্লাদে শুরু হল নতুন বছর। ফেস্টিভ মুড ধরা থাকল মনের সেলফি ফ্রেমে। রাজনীতি থেকে সমাজনীতি, সর্বোপরি অর্থনীতি- সবমিলিয়ে ২০১৯- শুভ হোক। এই অভিপ্রায় সঙ্গে নিয়ে নতুন সফর শুরু করল আরেকটা নতুন বছর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =