রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ, রাজপথে অবস্থান বিক্ষোভে পার্শ্ব শিক্ষকরা

তৃণমূল সরকারকে সেই দাবি মত কাজ করতে হবে।

 

কলকাতা: সমস্ত পার্শ্ব শিক্ষককে অবিলম্বে পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা দিয়ে স্থায়ীকরণ এবং বেতন কাঠামো প্রদানের দাবি জানিয়ে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের ডাকে এদিন শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা মিছিল হল। মিছিলের পরে তারা বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। বিক্ষোভরত পার্শ্বশিক্ষকদের মূল দাবি একটাই, মুখ্যমন্ত্রী সরকারের ক্ষমতায় এসে দাবি করেছিলেন তিন বছরের মধ্যে পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ী করে দেবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই রূপ কাজ হয়নি। এখন তৃণমূল সরকারকে সেই দাবি মত কাজ করতে হবে।

পার্শ্ব শিক্ষকদের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকে তারা অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন বিকাশ ভবনের সামনে। যতদিন না পর্যন্ত সরকার তাদের দাবি মানবে ততদিন বিক্ষোভ এবং আন্দোলন চলবে। তাদের মূল দাবি, ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটি রাখতে হবে। রাজ্যের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, পার্শ্ব শিক্ষকদের স্থায়ী করে দেওয়া হবে এবং বেতন কাঠামো প্রদান করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই দাবি অনুযায়ী কাজ করা হয়নি। তাই এখন বড়োসড়ো বিক্ষোভের বার্তা দিয়ে রাখলেন আন্দোলনকারী পার্শ্ব শিক্ষকরা। 

তাদের তরফে আরো জানানো হয়েছে, বিষ খেয়ে মরে গেলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে, এদিকে পার্শ্ব শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না সরকারের তরফে। পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ না হলে রাজ্যের স্কুল গুলি চালানো খুব মুশকিল হয়ে যেত বলে দাবি করেছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা, তাও রাজ্য সরকারের তরফে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা মানা হচ্ছে না তাই বিক্ষোভ বাড়ছে তাদের ভেতর। তাদের আরো দাবি, মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষাক্ষেত্রকে অবহেলা করছেন। একটা রাজ্যের পক্ষে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা দুটি ক্ষেত্রই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  তাদের রাজ্যের পক্ষে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আপার প্রাইমারি ফর্ম ফিলাপ হয় ২০১৪ সালে, পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে, টেটের ফল প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে এবং মেরিট লিস্ট প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের বিচারে মেরিট লিস্ট বাতিল হওয়ার পর আজ পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি। এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ গতকাল স্কুল সার্ভিস কমিশনে চিঠি জমা দেওয়া। এই চিঠিতে পাঁচ দফা দাবির উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =