নদিয়া: সন্ধ্যের পর থেকে সারা রাত খোলা থাকল পঞ্চায়েত অফিসের প্রধান গেট। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতের ঘটনা। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য৷ যদিও দরজা খোলা রাখার বিষয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়ে উপপ্রধান কাজল দত্তের ব্যাখ্যা, ‘‘আমি দীর্ঘদিন কাজ করছি৷ নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন থাকার চেষ্টা করি৷ তবুও ভুল মানুষ মাত্রেরই তো হয়।’’
তাঁর দাবি, ‘‘কম্পিউটার সেকশন এবং মূল অফিসের দ্বিতীয় দরজা বন্ধ ছিল৷, প্রধান গেট দিয়ে উপরের হলঘরে যাওয়া সম্ভব হত, যেখানে মূল্যবান তেমন কিছু ছিল না। তবে নিজেদের আরো সচেতন হতে হবে আগামীতে।’’ পাল্টা প্রশ্ন উঠছে, এই গাফিলতি জেরে যদি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটত তাহলে তার দায় কে নিত!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত অফিসের পাশে গাড়ি সারানোর এক মিস্ত্রি গতকাল রাত সাড়ে বারোটার সময় লক্ষ্য করেন, পঞ্চায়েত অফিসের প্রধান গেট খোলা রয়েছে। পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা কারও নাম্বার তার কাছে ছিল না৷ তিনি ওই অফিসের জল সরবরাহকারী এক ব্যক্তিকে ফোন করে জানান গোটা বিষয়টি। তিনি ওই রাত্রে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি এবং অফিস কর্তাদের ফোন করলেও কেউই ফোন ধরেননি বলে জানান। ওই অবস্থায় থাকা প্রধান দরজা দিয়েই আজ সকালে যথারীতি প্রবেশ করেন সকলে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যদের দায় দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আমজনতা৷