নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কোনও পরিষেবা না পাওয়ার প্রতিবাদে পঞ্চায়েত অফিসের শাটার ভেঙে দিলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড় গ্রাম পঞ্চায়েতে। এতে আটকে পড়েন পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধান। এলাকার মানুষের অভিযোগ তারা পরিষেবার জন্য বারবার পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হলেও ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান তাদের কোন কাজ করছেন না। উপরন্তু তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। এরই প্রতিবাদে তারা পঞ্চায়েত অফিসে এদিন বিক্ষোভ দেখান।
এদিন ডোমজুড়ের পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা পঞ্চায়েত অফিসের শাটার ফেলে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। চিৎকার করে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তারা শাটারে লাথি মারতে থাকেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তারা পঞ্চায়েত প্রধানকে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা এলাকার রাস্তাঘাট বা পানীয় জলের জন্য কোনও ব্যবস্থা করছেন না। এর পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে পঞ্চায়েত থেকে কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এরই প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভের জেরে ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং প্রধান দুজনেই প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে পড়েন পঞ্চায়েত অফিসে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে করনদিঘি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গেটে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। এই ঘটনায় এলাকায় জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, করনদিঘি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা৷ ফলে চলাফেরা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। খারাপ রাস্তার কারণে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে৷ বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি৷ ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে করনদিঘি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। গ্রামবাসীদের দাবি, রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু না হলে পঞ্চায়েত অফিসের তালা খোলা হবে না৷