কলকাতা: মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। তাঁর গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার কোকেন। সেই পামেলা এখন হাইকোর্টের দারস্থ হলেন। জামিনের আবেদন করেছেন তিনি কলকাতা হাইকোর্টে। আগামী ১লা সেপ্টেম্বর তার এই আবেদনের মামলার শুনানি বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে।
পামেলার কাছ থেকে যে মাদক উদ্ধার হয় তার প্রতি গ্রাম কোকেনের মূল্য ১৬ হাজার টাকা। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে কোকেন উদ্ধার হওয়ার পর মনে করা হয়েছিল, ৭৬ গ্রাম কোকেনের বাজারদর হবে কয়েক লক্ষ টাকার আশেপাশে। তবে পরে জানা যায়, সেই মাদকের মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ। এর আগেই পামেলা বিস্ফোরক অভিযোগ করে দাবি করেছিলেন যে, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। একই সঙ্গে সিআইডি তদন্ত চেয়ে পামেলা গোস্বামীর বক্তব্য ছিল বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় মুখ খুলেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেছিলেন, যদি পামেলা গোস্বামী সত্যিই দোষী হন তাহলে আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু যদি প্রমাণ হয় তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে তাহলে আন্দোলনে নামবে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। এই প্রেক্ষিতে সরাসরি তাঁর নিশানায় ছিল রাজ্যের শাসক দল। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা মামলা করেছে রাজ্য সরকার। বিজেপিকে আটকানোর জন্য এই ধরনের কাজ করছে তারা। এবারেও হয়তো একই জিনিস ঘটেছে সে কারণে তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী বলা ঠিক নয়।
এর অবশ্য পালটা দিয়েছিল তৃণমূল। বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না কিন্তু প্রশাসন, যারা তাদের এই ব্যাপারে গ্রেফতার করেছে, তারা তাদের মত করে কাজ করবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার সঠিক হবে না। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, একটু অপেক্ষা করলে অনেক কিছুই বেরোবে। কখনো বিজেপি মেয়ে পাচার করছে, কখনো মাদক পাচার করছে; এইসবে যুক্ত হচ্ছে।