নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগী হল রেলমন্ত্রক৷ এতদিন অক্সিজেন মূলত সড়ক পথেই পরিবহণ হত। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র সরকার রেলের কাছে আবেদন করেছে দ্রুত সেখানে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে। সেইমতো খুব শীঘ্রই অপারেশনে নামছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। তৈরি হয়ে গিয়েছে রুট ম্যাপও।কোন পথে কী পদ্ধতিতে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার পৌঁছে দেওয়া হবে তার পরিকল্পনাও তৈরি।
রেলে তরফে জানানো হয়েছে, লিক্যুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন পরিবহনের জন্য ‘রোল অন রোল অফ’ বা আরও আরও পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এই পদ্ধতিতে সড়ক পথে অক্সিজেন পরিবহনকারী ট্যাঙ্কারগুলিকে তুলে দেওয়া হবে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেসে’র রেলের সমতল ওয়াগনের ওপর এবং তাতে করে ট্যাঙ্কারগুলিক নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। এরপর ট্যাঙ্কারগুলি সড়ক পথে হাসপাতালে পৌঁছে যাবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট উচ্চতার ট্যাঙ্কারের কথা ভাবা হয়েছে। যাতে তা ওয়াগনের ওপর বা সড়ক পথে নিয়ে যাওয়ার সময় অসুবিধা না হয়।
পীযূষ গয়াল এ দিনই ১২টি রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ এরপর তিনি জানান, গ্রিন করিডর করে অক্সিজেন বহনকারী ট্রেন চালানো হবে৷ যাতে কম সময়ের মধ্যে তা গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া যায়৷ তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে এই রাজ্যগুলিতে ৬১৭৭ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে৷ সবথেকে পরিস্থিতি খারাপ যে রাজ্যের, সেই মহারাষ্ট্রকে দেওয়া হচ্ছে ১৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন৷ দিল্লি পাবে ৩৫০ মেট্রিক টন, উত্তরপ্রদেশকে দেওয়া হবে ৮০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন৷
ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুধু অক্সিজেনের অভাবেই একাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে রবিবার অক্সিজেনের অভাবে অন্তত ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই সরকারি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে। কিন্তু সময়ে অক্সিজেন এসে পৌঁছয়নি। এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে এড়ানো যায় তার জন্যই এবার কার্যত গ্রিন করিডর তৈরি করে অক্সিজেন পরিবহণের পরিকল্পনা করেছে রেল।