রাতারাতি কোটিপতি, এক মাসেই লাখপতি সব্জি বিক্রেতা! কীভাবে?

রাতারাতি কোটিপতি, এক মাসেই লাখপতি সব্জি বিক্রেতা! কীভাবে?

কলকাতা: কয়েক মাস আগেও সব্জি বিক্রি ছিল পরিবারের মূল আয়ের উৎস৷ কিন্তু হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ৷ রাতারাতি বদলে গিয়েছিল জীবন৷ লটারিতে এক কোটি টাকা জিতে ভাঙড়ের কাশীপুরের বাসিন্দা সাদেক মোল্লার খুলেছিল কপাল৷ বিনা পরিশ্রমে কোটি টাকার মালিক হয়ে মুহূর্তে বদলে গিয়েছিল জীবনের গতি৷ পাড়া প্রতিবেশির কাছে বাড়তি মান-সম্মান পেতেও দেখা যায় তাঁকে৷ রীতিমতন বিলাস ব্যাসনেও মত্ত ওঠে সে৷ তবে, লটারিতে কোটি টাকা পেলেও সেই টিকিট কাটার নেশা কমেনি তাঁর৷ আর তার জেরে একমাসে কোটপতি সাদেক এখন লাখপথি৷

আরও টাকা জেতার লোভে এখনও কাটিয়ে উঠতে পারলেননি পুরানো অভ্যাস৷ এবেলা-ওবেলা মিলিয়ে দৈনিক ১০০০ টাকা বরাদ্দ তার৷  ভোল বদলাতে চলেছে থাকার বাড়িটিরও৷ অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাযুক্ত মার্বেল বসানো দু’তলা বাড়িও নির্মাণও প্রায় শেষের পথে৷ সব্জির ব্যবসাও এখন করেন না তিনি৷ বাড়ি সংস্কারের জন্য মোট ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন৷ দামি ব্রাণ্ডের জামা কাপড়, কয়েক লক্ষ টাকার নতুন মোটর বাইক এলাহি ব্যাপার৷ এই রমারমা অবস্থা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন আসবে, তবে কী পুরস্কারের সব টাকাই এভাবে বাবুয়ানি করে উড়িয়ে দিচ্ছে একদা সবজি বিক্রেতা সাদেক মোল্লা?

না সেইরকম মোটেও নয়৷ জানালেন খোদ সাদেক৷ তাঁর কথায়,  ১ কোটি টাকা শুনতে লাগলেও তিনি পুরষ্কারের অর্থ বাবদ মোট ৭৬ লক্ষ টাকা হাতে পেয়েছিলেন৷ যার মধ্যে থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে ভাঙড় রোডের নিকটবর্তী ৩০ কাঠা জমি কিনেছেন৷ ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে চণ্ডীহাটে মাছে ভেড়ি দাদন নিয়েছেন৷ ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি বাড়ি কিনেছেন৷ গাড়ি কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে পরে মত বদল করে সেই অর্থ ফেরৎ নিয়ে নেন৷ কারণ তা মনে হয়েছে, গাড়ির ব্যবসা সম্পর্কে সে এখন ততটা ওয়াকিবহাল নয়৷ সব মিলিয়ে প্রয়োজনীয় সব ক্ষেত্রেই সমান ভাবে টাকা লাগিয়ে নিজের ও পরিবারের অন্যদের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করার জন্য বেশ কয়েক কদম আগাম ভেবে রেখেছে সাদেক মোল্লা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *