কলকাতা: করোনা সতর্কতা হিসাবে আজ থেকে জেল বন্দিদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেওয়ায় পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দমদম সেন্ট্রাল জেল৷ বন্দিদের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সেন্ট্রাল জেল৷ আদালত বন্ধ থাকা সত্ত্বেও প্যারোলে মুক্তির দাবি জানিয়ে সেন্ট্রাল জেলের মধ্যে ব্যাপক তাণ্ডব, গোলমাল, আগুন, গুলি, পাথর বৃষ্টি, পুলিশকে মারধরের অভিযোগ বন্দিদের৷ বন্দিদের তাণ্ডবে জখম জেলার-সহ বেশ উভয়পক্ষের ৭-৮জন৷ আশান্তি থামাতে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী৷ তবুও, বেগাল জেল বন্দিদের একাংশ৷
করোনার জেরে প্যারোলে মুক্তির দাবি জানিয়ে আজ অশান্তি শুরু করে জেল বন্দিদের একাংশ৷ জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টাও চলে৷ পুলিশ বাধা দিলে তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি জেলের ভিতর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়৷ দফায় দফায় অশান্তি চরম আকার ধারণ করে৷ রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায় বারাকপুর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ কিন্তু, সেই বাহিনীকে লক্ষ্য করেও পাথর ছোঁড়া হয়৷
জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী৷ জেলের মধ্যে বন্দিদের মধ্যেও শুরু হয় সংঘর্ষ৷ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় আগুন৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী৷ বেশ কয়েকটি দমকলে ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে চেষ্টা করলেও বন্দিদের তাণ্ডবের জেরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা দেখা দেয়৷ পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে পাল্টা তাড়া করে ক্ষুব্ধ বন্দিরা৷ চালানো হয় গুলি৷ ছোঁড়া হয় ক্যাঁদানে গ্যাস৷ সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷
অন্যদিকে, করোনার জেরে রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারগুলিতে আজ থেকে বন্দিদের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির লোকজনের সাক্ষাৎ বন্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছে৷ রাজ্যের কারা দপ্তরের তরে জানানো হয়, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্দিরা পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে পারবেন না৷ করোনা সংক্রমণ যাতে জেলে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ৷ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না পেরে আজ রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি করে বন্দিরা৷
