গেট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল! ঘটনার রাতের বিবরণীতে বিস্ফোরক নিরাপত্তারক্ষী

গেট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল! ঘটনার রাতের বিবরণীতে বিস্ফোরক নিরাপত্তারক্ষী

কলকাতা: যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আরও গ্রেফতারি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। কিন্তু গ্রেফতারি ছাড়াও আরও যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা হল ঘটনার দিন ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করতে পারেনি কেন। কেন পুলিশকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, কারা বারন করেছিল। এই ইস্যুতে এবার বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। আর সেই তথ্য দিয়েছেন হস্টেলের এক নিরাপত্তারক্ষী। কিছু ছাত্র এবং হস্টেল সুপারকে নিয়ে বিরাট দাবি করেছেন তিনি। 

ছাত্রের মৃত্যুর রাতে ঠিক কী হয়েছিল? এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওই নিরাপত্তারক্ষী সংবাদমাধ্যমে জানান, হলুদ ট্যাক্সি করে ওই পড়ুয়াকে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর কিছু ছাত্র এবং হস্টেল সুপার তাকে বলেছিল গেট বন্ধ রাখতে, কেউ যেন বাইরে থেকে ঢুকতে না পারে। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, সে দিন রাতে খাবার খাওয়ার সময়ে একদল ছাত্র এসে তাকে গেট খুলে দিতে বলে। জানায়, এক ছাত্র ওপর থেকে নীচে পড়ে গিয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে খাবার রেখে গেটের তালা খুলে দেন। হলুদ ট্যাক্সিতে করে ওই ছাত্রকে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। তার পর সেখানে পৌঁছয় অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু তত ক্ষণে হলুদ ট্যাক্সি বেরিয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সও তার পর বেরিয়ে যায়।

নিরাপত্তারক্ষীর কথায়, হস্টেল সুপার তাকে ‘নির্দেশ’ দিয়েছিলেন, গেট খুলবেন না। বাইরে থেকে যেন কেউ ঢুকতে না পারে। গেট বন্ধ করে রাখতে। তবে তিনি এটাও জানান, ট্যাক্সি বেরিয়ে যাওয়ার পর কলকাতা পুলিশের দু’জন এসেছিলেন। কিন্তু তারা কেউই ঘটনাস্থলে যাননি। তবে পুলিশ গেটের বাইরে থাকাকালীনও সেই সময়ে হস্টেলের মধ্যে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + 2 =