কলকাতা: এবছর ২১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ ২১ জুলাই। ২১ জুলাইকে প্রহসন দিবস হিসেবে পালনের ডাক দিয়ে একথা বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “শহিদের রক্তে ভেসে যে দল ক্ষমতায় এসেছে তার প্রতিদিন অন্যদের খুন করছে। সাধারণ মানুষ বা বিরোধীদের কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই এরাজ্যে। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে পারলে করুন। নয়তো শহিদদের নিয়ে রাজনীতি করবেন আর বিরোধীদের শহিদ করবেন তা চলতে পারে না।’’
দিলীপ ঘোষের পাল্টা মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস। দিলীপকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আগে বাংলার ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঢান জানেন না তাঁরা বাংলাকে নিয়ে কিছু বলতে পারেন না। তিনি প্রশ্ন ককরেন বাংলার মানুষের প্রতি বিজেলপি নেতৃত্বের আত্মত্যাগ কতটুকু? তিনি আরও বল্েন যারা প্রতি পদে বাংলার মানুষের ভাত মারার চেষ্টা করছে, যারা বাংলার মানুষকে ভালবাসে না তাদের বাংলার মানুষ সমর্থন করবে বলে তিনি মনে করেন না।
এদিকে টুইট বার্তা দিয়ে এদিনের সভার বিরোধিতা করেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিনের বার্তায় তিনি বলেন শহিদ দিবসের ভার্চুয়াল সমাবেশ হিসেবে ব্লকে ব্লকে এবং বিভিন্ন গ্রামের তৃণমূল পার্টি অফিসগুলোতে যে স্থানীয় জমায়েত হবে তাতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বিধি লঙ্ঘিত হবে আবশ্যিকভাবেই। এর ফলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও করেছেন তিনি। এর আগে সোমবার তিনি তৃণমূলের শহিদ দিবস উদযাপনের কঠোর সমালোচনা করেন। এই অনুষ্ঠানকে তিনি তৃণমূলের বার্ষিক উৎসব বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন ক্ষমতায় আসার আগে মমতা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার কথা বললেও হত্যাকারীরা এখন তৃণমূলের মন্ত্রী সান্ত্রী নেতা। ফলে কারা শাস্তি পেয়েছে তা জানা যাচ্ছে না বলে তোপ দাগেন অধীর। শহিদ দিবস পালনকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাৎসরিক নাটক বলেও ঠেস দেন।
অধীরের মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, দিল্লিতে বসে রোজ পিকনিক করেন অধীরবাবু। সংগঠনের সাথে কোনও যোগ নেই, অপদার্থতার চূড়ান্ত। কংগ্রেস শুয়ে শুয়ে মুর্শিদাবাদেও প্রায় নেই, ফলে একথা উনি ছাড়া আর কে বলবেন? তিনি প্রশ্ন করেন যেদিন অমিত শাহ সভা করেন সেদিন কি অধীরবাবু ঘুমোচ্ছিলেন? তিনি জানান বিশ্বস্ত সৈনিকের মত দায়িত্ব নিয়েই তারা ভার্চুয়াল সভা করেছে।