এত অর্থ কোথায়? মমতার বাজেটকে ‘প্রহসন’ বলে তোপ বিরোধীদের

এত অর্থ কোথায়? মমতার বাজেটকে ‘প্রহসন’ বলে তোপ বিরোধীদের

6cdd78e78e1db4a1f037e474a8f470f7

কলকাতা: গতকাল অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে বেশ কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন তিনি। বাজেটের পর এবার বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে যে, এত কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই টাকা আসবে কোথা থেকে। বিজেপি থেকে শুরু করে বামফ্রন্ট, সকলেই এক সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজেটকে প্রহসন বলে কটাক্ষ করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, শুধুমাত্র বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এবং নির্বাচনের আগে আস্থা পাওয়ার জন্য এই বাজেট।

বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে যে ধরনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি রয়েছে তার প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অর্থ বরাদ্দ করেছেন বিভিন্ন খাতে তা কার্যকরী করা একপ্রকার অসম্ভব। অন্যদিকে যেসব জায়গায় নিয়োগের কথা বলেছেন তিনি সেগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। তাই নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন শুধু, আর কিছু নয়। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য পার্শ্বশিক্ষক প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। তিনি জানান, এতদিন ধরে পার্শ্বশিক্ষকরা আন্দোলন করছেন কিন্তু এখন হঠাৎ তাদের কথা মনে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর, কারণ সামনে নির্বাচন। ওদিকে সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজেট পেশ করে বলেছেন এই বাজেট আগামী পাঁচ বছরের জন্য। কিন্তু আদতে কার্যকরী তিনি কিছুই করতে পারবেন না কারণ তিনি আর তাঁর সরকার রয়েছে মাত্র দুই মাস। এদিকে যেসব খাতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেইসব টাকা কোথা থেকে আসবে তিনি জানেন না। শুধুমাত্র ভোট পাওয়ার আশায় এই বাজেট পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করেছেন বামফ্রন্টের নেতা সুজন চক্রবর্তী। 

বাজেট পেশ করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগে ৫০ হাজার এবং পুলিশে ৭,২৯১ টি পদ খালি আছে। সেই প্রেক্ষিতে তিনি প্রস্তাব রাখছেন আগামী তিন বছরে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগে এবং পুলিশে শূন্য পদে নিয়োগ সম্পন্ন করবে রাজ্য সরকার। জানিয়ে দেন,  ‌আগামী ৫ বছরে সরকারি এবং বেসরকারি স্তরে এবং স্বনিযুক্তি মূলক কর্মসংস্থানকে ধরে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *