কলকাতা: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিরাচরিতভাবে নিজের গাড়িতে চেপে নয়, ব্যাটারি চালিত স্কুটারের মাধ্যমে এদিন নবান্নে গিয়েছেন তিনি। স্কুটার চালিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন তাকে সম্পূর্ণভাবে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি সহ সব বিরোধী দল। একই সুরে প্রত্যেকের বক্তব্য, এসব নাটক ছাড়া কিছুই নয়।
মমতার অভিনব প্রতিবাদকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনের আগে মানুষকে আরো বিভ্রান্ত করতে নাটক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এসব করে কিছু যে লাভ হবে না সে ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী যত তাড়াতাড়ি এইসব বন্ধ করবে তত ভালো। এদিকে বিজেপির মতোই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস শিবির। তাদের তরফে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনকে মাথায় রেখে রাজ্য সরকার জ্বালানির দাম এক টাকা করে ছাড় দিয়েছে। কিন্তু ছত্রিশগড়ে কংগ্রেস সরকার ১২ টাকা দাম কমিয়েছে। চাহিদা রাজ্য সরকার আরও দাম কমাতে পারতো কিন্তু তা না করে এখন নাটক করা হচ্ছে। এদিকে সিপিএমের তরফে একটু উল্টো সুরেই দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিবাদ অত্যন্ত স্বাভাবিক।
ব্যাটারি চালিত গাড়িতে নবান্নে পৌঁছে এদিন তিনি জ্বালানির অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেন, বিজেপি সরকার চাইছে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে সকলকে অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিতে। নির্বাচন এলেই তারা বলে বিনা পয়সায় গ্যাস দেবে, এদিকে রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার লিটার প্রতি পেট্রোলে উপার্জন করে ১৮.৪৬ টাকা এবং কেন্দ্রীয় সরকার উপার্জন করে ৩২.৯০ টাকা, অন্যদিকে ডিজেলের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩১.৮০ টাকা এবং রাজ্যের আয় ১২.৭৭ টাকা। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ লিটার প্রতি পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম এক টাকা করে কমিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতই রাজস্থান, অসম এবং মেঘালয় জ্বালানির দাম কমিয়েছে।