কলকাতা: রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, অভিযুক্ত পুলিশও। পঞ্চায়েত ভোটের আবহ কেটে গেলেও অশান্তির আবহ কিছুতেই কাটছে না। বিজেপি, সিপিএম সহ একাধিক বিরোধী দলের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে ভুরিভুরি অভিযোগ। সেই প্রেক্ষিতে একাধিক মামলাও চলছে পঞ্চায়েত নিয়ে। এবার তাই বোর্ড গঠনের আগে যাবতীয় অশান্তি এড়াতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একাধিক বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নন্দীগ্রামের ১ ব্লকে পাঁচটি পঞ্চায়েতে ১০ আগস্ট বোর্ড মিটিংয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের পৌঁছে দিতে হবে। এমন নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের তেনকরাইপুর বালুমতি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ জন সিপিআইএম জয়ী প্রার্থীকেও নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই জেলার হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ জন সিপিআইএম জয়ী প্রার্থীও নিরাপত্তা পাবেন। অন্যদিকে মথুরাপুরের ৯ বিজয়ী প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই সব নির্দেশই দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপির অভিযোগ বিজয়ী প্রার্থীরা বোর্ড গঠনে যাতে হাজির থাকতে না পারেন তাই বেশ কাউকে পুরনো মামলায় পুলিশ তলব করছে। কোথাও আবার রাজ্যের শাসক দল জয়ী প্রার্থীদের নিজেদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। এছাড়া মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে বিজেপি জয়ী প্রার্থীদের পুলিশ তুলে নিয়ে বোর্ড গঠন আটকানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, দুষ্কৃতীরা বিজেপি জয়ীদের প্রার্থীদের বোর্ড মিটিংয় যোগ দেওয়া আটকাতে হুমকি দিচ্ছে। বাকি অধিকাংশ জায়গাতেও একই ধরনের অভিযোগ। নিশানা সেই শাসক শিবির।