কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি৷ শাসকদলের চোখ রাঙানির জেরে মনোনয়ন জনা দিতে পারেননি বহু বিরোধী প্রার্থীই৷ আদালতের নির্দেশের পরেও মনোনয়নের পথ মসৃণ হয়নি৷ এমতাবস্থায় হুমকির মুখে পরে জমা দেওয়া মনোনয়ন ফিরিয়ে নিয়েছেন অনেকে৷ কিন্তু কে দেল সেই হুমকি?
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চায়েত ভোটের কয়েক জন বিরোধী প্রার্থীর কাছে হুমকি আসে৷ তবে এই হুমকি প্রাণনাশের নয়। বরং তাঁদের বলা হয়, মনোনয়ন না ফেরালে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। জেলে যাওয়ার ভয়ে দ্রুত মনোনয়ন প্রত্যাহারে করে নেন সিপিএমের দুই প্রার্থী। তবে তাঁরা দ্বারস্থ হন আদালতের৷ মঙ্গলবার এই দুই বাম প্রার্থীর মামলা ওঠে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীদের আভিযোগ শোনামাত্রই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পৃথক দু’টি আসনে মনোনয়ন জমা দেন সিপিএম-এর দুই প্রার্থী শ্যামল মণ্ডল এবং রেশমা অঙ্কুজি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য তাঁদের ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে আদালতকে জানিয়েছিলেন তাঁদের আইনজীবী শামিম আহমেদ। মঙ্গলবার মামলাটি প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ‘‘মামলকারীদের অভিযোগ নিরপেক্ষ ভাবে খতিয়ে দেখবে কমিশন। এর জন্য একটি পৃথক দল গঠন করতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অনুসন্ধান রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে কমিশনকে।’’