কলকাতা: বিধান ভবনে তখন বৈঠক চলছিল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিদের। নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা জিতিন প্রসাদ। সেই সময়ে প্রকাশ্যে চলে এলো কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলের বেশ কিছু সমর্থক এবং নেতা সোমেন মিত্র এবং জিতিন প্রসাদের নামে স্লোগান দিতে দিতে সেখানে ঢুকে পড়েন। তাদের বক্তব্য, দেখা করার জন্য নির্ধারিত সময় দেওয়ার পরেও তাদের সঙ্গে দেখা করা হয়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সেই ক্ষোভ প্রকাশ করতেই স্লোগান দিয়ে বৈঠকের মাঝেই ঢুকে পড়েন তারা।
পশ্চিমবঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী গোষ্ঠী এবং সোমেন মিত্রের গোষ্ঠীর অনেক সময়ই প্রকাশ্যে এসেছে। এখন অধীর চৌধুরী ফের একবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ায় সার্বিকভাবে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অভিযোগ উঠছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর অধীর চৌধুরী নিজের পছন্দের মত বেশ কিছু লোককে গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ দিয়েছেন কিন্তু বাকিদের ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিয়েই দিন দিন বাড়ছে বঙ্গ কংগ্রেসের গভীরে। আজ হয়তো তারই বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল। কংগ্রেস কর্মীরা এমনভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে মাঝপথেই বেরিয়ে যেতে হল।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট করেছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, সেই জোট হয়তো অনেক কর্মী এবং সর্মথকরা ভালো চোখে দেখছেন না। এদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সোমেন মিত্রের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ্য চিত্র ধরা পড়ায় আরো বেশি অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য কংগ্রেস। সেই প্রেক্ষিতে আজকের এই প্রকাশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সার্বিকভাবে কাঠগড়ায় তুলেছে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে। অনেকেই মনে করছেন তৃণমূলের স্তরের কর্মী এবং সমর্থকদের সঠিক ধারণা দিতে পারছে না কংগ্রেস। সেই কারণে এইভাবে গোষ্ঠী কোন্দল বাড়ছে দলের অন্দরে।