কলকাতা: দলের কর্মীদের গায়ে হাত পড়লে তিনি রেয়াত করবেন না৷ সেটা আরও স্পষ্ট করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ফের বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে অভিযোগ করে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷
বললেন, ‘‘কর্মীদের গায়ে হাতে দিলে বুকে পা তুলে দেব৷ সে তিনি যেই হোন না কেন৷’’ স্বভাবতই পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে শাসকদল তৃণমূল৷ অবিলম্বে দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করার জোরাল দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ তাঁর দাবি, ‘‘দিলীপবাবু পরিকল্পনা করে বাংলায় নির্বাচন এলেই হিংসা ছড়ানোর জন্য উস্কানিমূলক কথা বার্তা বলেন৷ এই ঘটনা আবার সেটাই প্রমাণ করল৷ তাই অবিলম্বে ওঁনাকে গ্রেফতার করা উচিত৷’’
৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচন৷ এর মধ্যে ভবানীপুরে হবে উপ নির্বাচন এবং মুর্শিদাবাদের আরও দুটি কেন্দ্রে হবে সাধারণ নির্বাচন৷ এহেন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা এখনও চলছে বলে বিজেপির অভিযোগ৷ এমনকি নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর তা নতুন করে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের৷ এই প্রসঙ্গেই বলতে গিয়ে এদিন দিলীপবাবু শাসকদল তৃণমূলের নাম না করে প্রকাশ্যেই রীতিমতো হুমকির সুরে বলেন, ‘‘আমি দিলীপ ঘোষ বলছি৷ আমাদের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ আমাদের কর্মীদের গায়ে কেউ হাত দিলে আমি চুপ করে বসে থাকব না৷ বুকে পা তুলে দেব৷’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন: এই প্রথম নয়৷ এর আগেও দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিয়েই দিলীপবাবু বলেন, ‘‘যারা ভদ্রলোক, তাঁরা ঘরে আঁচলের তলায় লুকিয়ে থাকুন৷ কিন্তু অন্যায় হলে দিলীপ ঘোষ চুপ করে থাকবে না৷’’ দলের রাজ্য সভাপতির এহেন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চ্চা শুরু হয়েছে৷ এরই মাঝে দিলীপবাবুর গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে সেই জল্পনাকেই আরও উস্কে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ৷ প্রশ্ন উঠছে তেন এমন কথা বলতে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিষ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভোটের সময় হাওয়া গরম করতেই এমন কৌশলী পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারেন দিলীপবাবু৷ অপর অংশের মতে, দল ভাঙন রুখতেই এই ঘোষণা৷