বিদ্যাসাগর ও নেতাজী জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অভিনব অনলাইন প্রতিযোগিতা শিক্ষক সংগঠনের

বিদ্যাসাগর ও নেতাজী জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অভিনব অনলাইন প্রতিযোগিতা শিক্ষক সংগঠনের

 

ক্যানিং: করোনা পরিস্থিতিতেও বাঙালির দুই মহান বিপ্লবী-মনীষীর জন্ম দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে অভাবনীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করল ‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’ বা এসটিইএ। শনিবার ২৫টি বিভাগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় মথুরাপুর আর্য বিদ্যাপিঠ স্কুলে।

২০২০ সালের মার্চ মাস থেকেই বন্ধ স্কুল-কলেজ। করোনা অতিমারীর জন্য বাড়িতে বসেই চলছে অনলাইনে পড়াশোনা। কিন্তু ২০২১ সালটি বাংলা সংস্কৃতির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবার্ষিকী এই বছর। তাই শিক্ষার প্রসারে এবং শিক্ষার সংস্কৃতিতে বিদ্যাসাগরের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এসটিইএ।

সঙ্গীত, আবৃতি, অংকন, শ্রুতি নাটক, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, গান, প্রবন্ধ রচনা-সহ ২৫টি বিভাগের প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে অংশ নেয় প্রায় ৫০০-এরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা। শনিবার মথুরাপুর আর্য বিদ্যাপীঠ স্কুলে সফল ৭৫ প্রতিযোগিতার হাতে পুরস্কার হিসেবে স্মারক, মনীষীদের বই ও মানপত্র তুলে দেওয়া হয়।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবর্ষ উপলক্ষ্যে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয় এদিন। বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তপন সামন্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমিতির জার্নাল ‘শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক শম্ভু মান্না, কোষাধ্যক্ষ অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি পঞ্চানন ময়রা-সহ আরও অনেকে।

জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার এদিন জানান, “শুধুমাত্র শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আন্দোলন নয়, করোনা ও আমফানের পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে প্রচুর ত্রাণকার্য চালিয়েছে সমিতি। পাশাপাশি বিদ্যাসাগর, নেতাজি, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ-সহ দেশের বরেণ্য মনীষীদের জীবনচর্চার মাধ্যমে একটা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল করে তোলার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে সমিতি।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *