ব্যারাকপুর: অবশেষে বিরাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করল নিমতা থানার পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের দৌলতে অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ৷ দিবাকর নামে ধৃত ওই ব্যক্তি এলাকার স্থানীয় নেতা বাবুলালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷ ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিন বিরাটিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বাইক করে এসে তৃণমূল কর্মীর মাথায় ও বুক গুলি করে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় তৃণমূল সভাপতি বিধান বিশ্বাস জানান, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকাকে অশান্ত করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শেন আসেন স্বয়ং পুলিশ কমিশনার৷
পুলিশ সূত্রের দাবি, তদন্তে নেমে কোনও প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ ফলে প্রথমে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একটু সমস্যায় পড়তে হয়৷ তখনই নজরে আসে এলাকার একাধিক দোকানে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা৷ সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়৷ পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত দিবাকরকে প্রথমে আটক করা হয়েছিল৷ কিন্তু নাইট কার্ফু অপেক্ষা করে অত রাতে সে ওখানে কি করছিল, তার সদুত্তর দিতে পারেনি৷ এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷ যদিও বিজেপির স্থানীয় নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, ‘‘রাঘব বোয়ালদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে৷ তাঁদের বাঁচাতে চুনোপুটিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে৷’’